2025-11-28@11:54:06 GMT
إجمالي نتائج البحث: 10

«অমরত ব»:

    দানবীর রণদা প্রসাদ সাহাকে তাঁর গ্রামের ছোট–বড় সবাই ডাকে জেঠামনি। অবিভক্ত ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া উপাধি ছিল রায়বাহাদুর। সে নামেও তাঁকে ডাকতেন অনেকে। কিন্তু তিনি সেই অভিজাত সম্বোধন পছন্দ করতেন না। তবে আর পি সাহা নামটিই ছিল সাধারণের মধ্যে অধিক পরিচিত। দাতা বা দানবীর এই মানুষটি মির্জাপুরবাসীর কাছে আজও জেঠামনি হিসেবেই যেন ঘরের মানুষ, প্রাণের ভালোবাসার মানুষটি। এক উচ্চতর মূল্যবোধের অধিকারী, বিস্ময়কর রকম শক্তিমান মানুষ ছিলেন দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা। তাঁর প্রাণশক্তি, শ্রমশক্তি ও চিন্তাশক্তি ছিল বিস্ময়কর। আর বোধের জায়গাটিতে—মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করাকে তিনি মানবীয় কর্তব্য মনে করতেন। পৃথিবীকে সবার জন্য সুখকর করে তোলা সম্ভব এই বিশ্বাসেই তিনি জনহিতকর কাজ করে যেতেন অক্লান্তভাবে। এই ব্রত থেকেই লাভ করেছিলেন ‘দানবীর’ অভিধা। তাঁর কীর্তির চেয়ে অনেক বড় ছিলেন তিনি।রণদা প্রসাদ সাহার জন্ম...
    মেথিকুমারীঅনিবার্য বিচ্ছেদে আমরা অমর হবএ শহরের সব কথা ভেসে যাবে রাতের বাতাসেআমাদের প্রেম ও কাম যত নামধামচাপা পড়ে রবে সব যার যার সকাশে।ছাতিমগন্ধ শহরের পথ পানশালা চিনে নেবেবৃষ্টিতে ভিজে ভিজে আমাদের শবদাহ হবেআমরা চিতা হব নিরালা শ্মশানে,ভেজা কাঠে সারা রাত দাউ দাউ জ্বলবআমরা দুজনে।যতবার আমরা খুন হবআমাদের মন থেকে যাবে গন্ধের নুনে;ছাতিমের পথ কিংবা তোমার মেথিগন্ধচুলের বাগানে,বিচ্ছেদ বা অমরতার নিজস্ব নিয়মে।আজ রাতে আমাদের মনে হবেঅমরতার মতো এক অনন্ত বিরহ আমরা কিনেছি,নিরাময়-অযোগ্য মিলনের ভ্রান্তিবিলাসে।সপ্তপর্ণাকোন বিরহে তুমি পর্ণা, কোন বিচ্ছেদে অপর্ণা;কার্তিকের কোন হলদেঘোর বিকেল এসেএকদিন বলে যাবে—আমি তুমি কেউ কারুর না!বৃক্ষবিবরল শহরে তবু এই সব মনে করেপর্ণকুটিরের মিথ বেঁচে থাকবে।দালানে দালানে দীর্ঘ ছায়াফেলা শহরের পথআমাদের পায়ে পায়ে মুছে যাবেঅচেনা পথের চেনা আকুলতাজেঁকে ধরবে ফের—সন্ধ্যা নামবে কবে?কোনো এক পথে ফুটপাতে হঠাৎনিহত ছাতিমের মার্সিয়া...
    প্রথমেই পৌরাণিক কাহিনির কথা জেনে নেওয়া যাক।দেবতা সূর্য ও তাঁর স্ত্রী সংজ্ঞার এক কন‍্যা ও এক পুত্র। তাঁদের নাম যথাক্রমে যমুনা আর যম। সন্তানদের জন্মের পর সূর্যজায়া দেবী সংজ্ঞা সূর্যর তাপ সহ‍্য করতে না পেরে নিজের ছায়াকে দেবলোকে রেখে নিজে একা মর্ত‍্যবাসী হন। পুত্র–কন‍্যাদের বিমাতা ছায়া স্নেহের পরিবর্তে দুর্ব‍্যবহারই করতেন।এদিকে ছায়ার মায়ায় সূর্যদেব পুত্র–কন‍্যার প্রতি দুর্ব‍্যবহারের কোনো প্রতিবাদও করতে পারতেন না। এ কারণে অত‍্যাচার বাড়তেই থাকে। শেষে একদিন কন‍্যা যমুনাকে বিমাতা ছায়া স্বর্গলোক থেকে বিতাড়িত করেন।পরে বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে ভাই যমের সঙ্গে দিদি যমুনার দেখাসাক্ষাৎ প্রায় বন্ধই হয়ে যায়। এদিকে দিদিকে দেখতে না পাওয়ার দরুন যমের মন কেমন করতে থাকে। দিদি যমুনারও মন খারাপ।দিদির ইচ্ছানুসারে যমরাজ সেই বর সবার জন্য দান করেন এবং তাঁর আহ্বানে বারবার আসার প্রতিশ্রুতি দেন।...
    ‘তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে আমার মরণযাত্রা যেদিন যাবে’ গানের মুখ শুনেই আঁতকে উঠলেন মান্না দে! প্রযোজকদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘কী করেছেন! আমার মরণযাত্রা করে দিয়েছেন! আপনাদের বউদি এ গান আমাকে গাইতে দেবে না।’মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় পূজা উপলক্ষে মান্না দের জন্য গানটি করেছিলেন। মান্না দে সাফ জানিয়ে দিলেন, গানটা তিনি করছেন না। মৃণাল-পুলকের মন ভেঙে গেল। কিছুদিন পর চলচ্চিত্র পরিচালক মনোজ ঘোষ ‘তুমি কত সুন্দর’ ছবির জন্য ‘তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে’ গানটি পছন্দ করলেন। কিন্তু সেখানেও মুশকিল। মান্না দের কথা ভেবে বানানো এ গান মান্না না গাইলে কে গাইবে?মনোজ ঘোষ ও মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় রওনা দিলেন মুম্বাই। গানটি শোনালেন কিশোর কুমারকে। ভালো লাগল তাঁর। তবে মুখরায় ‘তুমি বারান্দাতে দাঁড়িয়ে থাকো’র জায়গায় কিশোর ‘বারান্দা’ শব্দটা পছন্দ করলেন না। বললেন, ওখানে ‘আঙিনা’...
    সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, দুইজনই মেতেছিলেন অদ্ভূত এক আলোচনায়। তাদের আলোচনার বিষয় ছিলো ‘অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে অমরত্ব লাভ’। পুতিনের ভাষ্য, ‘‘অঙ্গ প্রতিস্থাপন বার বার করা গেলে মানুষ আরও তরুণ হয়ে উঠতে পারে। এমনকি অনন্তকালও বয়স ঠেকানো সম্ভব।’ কথাটি নিছক রসিকতা মনে হলেও প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়। ‘অঙ্গ প্রতিস্থাপন কি সত্যিই মানুষের অমরত্বের চাবিকাঠি হতে পারে?’’ অঙ্গ প্রতিস্থাপন হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে অসুস্থ বা অকার্যকর অঙ্গের জায়গায় দাতার সুস্থ অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়। ইতোমধ্যে এই পদ্ধতি লাখো মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে। যেমন—গত ৩০ বছরে যুক্তরাজ্যে প্রায় এক লাখেরও বেশি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে।  আরো পড়ুন: পেঁপের সঙ্গে যেসব খাবার খেলে ‘প্রোটিন’ ভেঙে যেতে পারে ডায়রিয়া হলে কী খাওয়া যাবে, কী খাওয়া...
    ‘তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে আমার মরণযাত্রা যেদিন যাবে’ গানের মুখ শুনেই আঁতকে উঠলেন মান্না দে! প্রযোজকদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘কী করেছেন! আমার মরণযাত্রা করে দিয়েছেন! আপনাদের বউদি এ গান আমাকে গাইতে দেবে না।’মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় পূজা উপলক্ষে মান্না দের জন্য গানটি করেছিলেন। মান্না দে সাফ জানিয়ে দিলেন, গানটা তিনি করছেন না। মৃণাল-পুলকের মন ভেঙে গেল। কিছুদিন পর চলচ্চিত্র পরিচালক মনোজ ঘোষ ‘তুমি কত সুন্দর’ ছবির জন্য ‘তোমার বাড়ির সামনে দিয়ে’ গানটি পছন্দ করলেন। কিন্তু সেখানেও মুশকিল। মান্না দের কথা ভেবে বানানো এ গান মান্না না গাইলে কে গাইবে?মনোজ ঘোষ ও মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় রওনা দিলেন মুম্বাই। গানটি শোনালেন কিশোর কুমারকে। ভালো লাগল তাঁর। তবে মুখরায় ‘তুমি বারান্দাতে দাঁড়িয়ে থাকো’র জায়গায় কিশোর ‘বারান্দা’ শব্দটা পছন্দ করলেন না। বললেন, ওখানে ‘আঙিনা’...
    লিভারপুলের পর্তুগিজ স্ট্রাইকার ডিয়াগো জোতা বৃহস্পতিবার মাত্র ২৮ বছর বয়সে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে ফুটবল দুনিয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, মোহামেদ সালাহ, অ্যালিসন বেকারের মতো সতীর্থরা বিশ্বাস করতে পারছেন না জোতা নেই। ইংলিশ ক্লাব লিভারপুরের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জোতার মৃত্যুতে শোক জানানো  হয়েছে। অল রেডসরা তার মৃত্যুতে স্মরণ সভার আয়োজন করেছে। জোতা অল রেডসদের হয়ে ২০ নাম্বর জার্সি পরে খেলতেন। ওই জার্সির অমরত্ব ঘোষণা করেছে লিভারপুল। অর্থাৎ ২০ নম্বর জার্সি চিরকাল জোতারই থাকবে। ওই জার্সি পরে মাঠে নামবেন না আর কেউ। জোতার সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা তার ছোট ভাই আন্দ্রে জোতাও ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। তাদের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন এক বিবৃতি দিয়েছে, ‘পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন ও পর্তুগালের ফুটবলসংশ্লিষ্ট সবাই পুরোপুরি বিধ্বস্ত। দারুণ মানুষ...
    শুরুটা হয়েছিল একটা স্যুটকেস থেকে কিংবা একটা ন্যাপকিন পেপার অথবা একটা বাইসাইকেল থেকে। সেসব তখন ছিল বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা। ধীরে ধীরে ঘটনাগুলো জোড়া লেগে রূপান্তরিত হলো একটা পূর্ণাঙ্গ গল্পে। স্মৃতির সেসব পাথরখণ্ড এখন গল্পের জগৎ পেরিয়ে মিথ বা কিংবদন্তিতে রূপ নিয়েছে। কে জানে, হয়তো কোনো এক মনোরম মনোটোনাস সকালে কফির মগ হাতে মনে মনে সেই স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বসেন রূপকথার সেই মহানায়ক, যাঁকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এই অনবদ্য গল্পগাথা।রূপকথার সেই গল্পের মহানায়কের নামটা যে লিওনেল মেসি, তা বোধ হয় আলাদা করে না বললেও চলে। আজ ৩৮তম জন্মদিনে মেসি কি আরেকবার সেসব রূপকথার দিকে ফিরে তাকাবেন? হয়তো তাকাবেন, হয়তো না। কিন্তু আমরা তো কাঁটায় হেঁটে মুকুটের সন্ধান পাওয়া সেই গল্পটার দিকে ফিরে তাকাতেই পারি। একজন মানুষের দেবদূত হয়ে ওঠার যাত্রাটা আরেকবার...
    অমরত্ব দেখতে কেমন?ফুটবলেরটি বলা যায়। প্রতিপক্ষ দলের বক্সের মাথায় যে ছোট্ট ‘ডি’, তাঁর নিশ্বাস লাগোয়া দূরত্বে বলটি বসানো। সেখান থেকে কয়েক পা দূরে দাঁড়িয়ে গোলাপি কিংবা আকাশি-সাদা জার্সি পরা ৩৭ বছর বয়সী রক্তমাংসের যে মানুষটি, তাঁর নাম হতে পারে ‘অমরত্ব’।লোকে তাঁকে ডাকেন লিওনেল মেসি, কেউ কেউ শুধু মেসি। তাঁর অর্জনের ডালিতে তাকিয়ে কেউ কেউ হয়তো সংগোপনে ওই নামেও ডাকেন,‘ইম্মর্টাল’ কিংবা অমর!ফুটবলে প্রায় এমন কোনো শিরোপা নেই, যা তাঁর নেই। বয়সের ডালপালা গজিয়ে ক্রমে মহিরুহ হয়ে এখন পাতাঝরার ঋতুতে নামলেও তবু তাঁর ‘সবুজ’ থাকার কী ক্ষুধা! এ সবুজ মানে তরতাজা, এ সবুজ মানে যত দিন সম্ভব সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের মতো টিকে থাকার নেশা। মানুষ এটাই চায়। পার্থক্য হলো, অন্যদের চাওয়াটা হয়তো নিজের জীবনকেন্দ্রীক, মেসির ফুটবলে।আরও পড়ুনহাসপাতাল ছাড়লেন এমবাপ্পে৪ ঘণ্টা আগেআর তাই,...
    আশির দশকের শুরুর দিকে বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে নাসরীন জাহানের আবির্ভাব।  ‘উড়ুক্কু’ উপন্যাসের মাধ্যমে তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এই উপন্যাসের জন্য নাসরীন জাহান অর্জন করেন ‘ফিলিপ্‌স সাহিত্য পুরস্কার’। এছাড়া বাংলা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য লাভ করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তার আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ ‘পালকের চিহ্নগুলো’। জীবন, মৃত্যু, অমরত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন রাইজিংবিডির সঙ্গে। সাক্ষাৎকার গ্রহণে স্বরলিপি। রাইজিংবিডি: আপনার নতুন গ্রন্থ ‘পালকের চিহ্নগুলো, আত্মজীবনীমূলক এই গ্রন্থের নাম এমন কাব্যিক হওয়ার কারণ কী? নাসরীন জাহান: আমি যখন নাম খুঁজছিলাম তখন আশরাফ (কবি আশরাফ আহমদ) হঠাৎ করে বললো বইয়ের নাম ‘পালকের চিহ্নগুলো’ রাখো। তুমিতো বুঝতেই পারছো ‘পালকের চিহ্নগুলো’ কেমন অনুভব দেয়—পাখি উড়ে যায় ছায়া পড়ে থাকে এরকম আরকি।  আরো পড়ুন: বইমেলায় ধ্রুব নীলের ‘অতৃপ্ত’ ...
۱