জুলাই সনদ নিয়ে বিরোধ হতাশাজনক, সিদ্ধান্ত দ্রুত হবে: আসিফ নজরুল
Published: 30th, October 2025 GMT
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, “২৭০ দিন ধরে আলাপ-আলোচনা করে আমরা প্রধান রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের মধ্যে যে অনৈক্যের সুর দেখছি এটা হতাশাব্যঞ্জক। এই তীব্র বিরোধের মধ্যে কীভাবে সমঝোতার দলিল পাস হয়, এটা খুব দুরূহ একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে এনে দিয়েছে।”
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
‘সাম্য, মর্যাদা ও আলোকিত সমাজের স্বপ্নে ৭১ ও ২৪ এর তরুণরা’
১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট বাতিল
আসিফ নজরুল বলেন, “কিছু ভাইটাল প্রশ্নে তাদের আসলে ঐকমত্য হয় নাই। এর আগে আমরা জেনেছিলাম, বিষয়বস্তু নিয়ে বিরোধ ছিল। এখন আবার দেখলাম, দুই ধরনের বিরোধ বের হয়েছে। একটা হলো, কী পদ্ধতিতে পাস করা হবে। আরেকটা হচ্ছে, গণভোট কবে হবে। এত দৃঢ়, পরস্পরবিরোধী এবং উত্তেজিত ভূমিকা নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে ছিল। আপনারা যদি এরকম একটা ভূমিকা নেন তাহলে সরকার কী করবে। আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না, এতদিন আলোচনার পর আপনাদের যদি ঐকমত্য না আসে, তাহলে আমরা সত্যি কী করব এটা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “কোনো রাজনৈতিক দল যদি এককভাবে আমাদের আল্টিমেটাম বা জোর করার ব্যবস্থা করে তার মানে হলো তাদের মধ্যে ঐকমত্য নাই। তারা চাচ্ছেন, যেন এই সরকার তাদের দলীয় অবস্থান সমর্থন করে। দুর্ভাগ্যজনক, আলোচনার জন্য তাদের যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। তারা যে অনৈক্য দেখাচ্ছেন, জুলাইয়ের চেতনাকে কোথায় নিয়ে গেছেন, বিবেচনা করা উচিত।”
আইন উপদেষ্টা বলেন, “ক্যাবিনেটের মিটিংয়ে আজ সাধারণ একটা আলোচনা হয়েছে অনৈক্যের বিষয় নিয়ে। ঐকমত্য কমিশন দুইটা বিকল্প দিয়েছে–একটা জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, গণভোট, ২৭০ দিনের মধ্যে না হলে সয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধান সংশোধন হয়ে যাবে। এটা কোনো নজির আছে কিনা বা আদৌ সম্ভব কিনা, আমরা দেখব। আরেকটা হলো–এই দায়-দায়িত্ব নির্বাচিত সংসদের হাতে ছেড়ে দেওয়া। এই দুই বিকল্পের মধ্যে কোনটা আসলে বেশি গ্রহণযোগ্য এটা নিয়ে রাজনৈতিক দলের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ আছে।”
তিনি বলেন, “গণভোট নিয়ে বিরোধ তো তীব্রতম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এসব বিষয়ে আমাদের একটা সময় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা তাকে সহায়তা করার জন্য থাকব। সিদ্ধান্ত নির্দিষ্ট কেউ নেবে না, এটা আপনারা নিশ্চিত থাকেন। এই সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টা নেবেন। আমাদের সঙ্গে পরামর্শের প্রয়োজন হলে তিনি করবেন এবং আমরা যে সিদ্ধান্ত নেব সেখানে আমরা দৃঢ় থাকব। আর সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত নেওয়া হবে।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই গণঅভ য ত থ ন ন উপদ ষ ট ঐকমত য আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
ইতিবাচকভাবে দেখছে জামায়াতে ইসলামী
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায়-সম্পর্কিত সুপারিশকে ‘ইতিবাচকভাবে’ দেখছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এখন এর বাস্তবায়নে অবিলম্বে আদেশ জারি এবং আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করা দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ দাবি জানান।
আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আমরা কমিশনের সুপারিশকে ইতিবাচকভাবে দেখছি। অবিলম্বে সনদ বাস্তবায়নের আদেশ দেওয়ার দাবি করছি। সেই সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের আগে আগামী নভেম্বরের মধ্যে গণভোটের মাধ্যমে আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবি করছি।’
জামায়াত শুরু থেকেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি এবং এর আইনি ভিত্তি দিতে গণভোটের দাবি করে আসছে। সে গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই আয়োজনের দাবি করছে দলটি।
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট কেন—সে বিষয়ে গতকাল পৃথক বক্তব্য দিয়েছেন দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। তাঁর নেতৃত্বে গতকাল দুপুরে জামায়াতের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনকে ১৮ দফা সুপারিশ জমা দেওয়া হয়। সে ১৮ দফায় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের সুপারিশও ছিল বলে জানান তিনি।
মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৮ দফার মধ্যে গণভোটকে নির্বাচনের আগে করতে হবে।...জুলাই জাতীয় সনদে সেসব বিদ্যমান রাষ্ট্রকাঠামোকে পরিবর্তন করে যে সংস্কারগুলোর ব্যাপারে আমরা ঐকমত্য হয়েছি, জাতিকে তো সেটা জানতে হবে। জানার পরেই না তারা “হ্যাঁ”, “না” ভোট দেবে। যদি একই দিনে ভোট হয়, তাহলে ভোটাররাও তো জানতে পারল না।’ এ ছাড়া একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলেও মনে করে জামায়াত।
 সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক রোববার
সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিবের বৈঠক রোববার