ভারতে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে পাঁচ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ দলিত নারীর
Published: 13th, January 2025 GMT
দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ১৮ বছর বয়সী এক দলিত নারী। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই নারীর বয়স যখন ১৩ বছর বছর, তখন তাঁর ওপর যৌন নিপীড়ন শুরু হয়। এরপর টানা পাঁচ বছর ধরে চলেছে এই নিপীড়ন।
ধর্ষণের এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা এখন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। বিবিসিকে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বয়স ১৭ থেকে ৪৭ বছরের মধ্যে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দলিত ওই নারীর প্রতিবেশী, খেলাধুলার কোচ—এমনকি তাঁর বাবার বন্ধুরাও।
সরকারি একটি প্রকল্পের আওতায় কাজ করা পরামর্শকদের (কাউন্সেলর) একটি দল ওই নারীর বাসায় গেলে তিনি ধর্ষণের বিষয়ে মুখ খোলেন। এরপর এ ঘটনায় বিভিন্ন আইনে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮টি মামলা করেছে পুলিশ। ঘটনা তদন্তে ২৫ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। এ নিয়ে আগামী দিনে আরও মামলা করা হতে পারে।
সংবাদমাধ্যম নিউজ মিনিটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারীর বয়স যখন ১৩ বছর, তখন তাঁকে তাঁর এক প্রতিবেশী যৌন নিপীড়ন করেন। ওই প্রতিবেশী তাঁর কিছু ছবিও তোলেন। পরে ১৬ বছর বয়সে ওই নারীকে আবার যৌন নিপীড়ন করেন তিনি। একই সঙ্গে নিপীড়নের সময় ধারণ করা ভিডিও বেশ কয়েকজনের কাছে প্রকাশ করেন। পরে তাঁরাও ওই নারীকে কয়েক বছর ধরে ধর্ষণ করেন।
স্থানীয় শিশু কল্যাণ কমিটির (সিডব্লিউসি) প্রধান একজন আইনজীবী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, দলিত ওই নারী একজন অ্যাথলেট ছিলেন। খেলাধুলা–সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্যাম্পে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতেও ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। পুলিশ বলেছে, ওই নারীকে গত পাঁচ বছরে তিনবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
ওই নারীর অভিযোগ অনুযায়ী, নিপীড়নকারীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাঁর বাবার মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করতেন। তিনিও নিপীড়নকারীদের ফোন নম্বর নিজের ফোনে সংরক্ষণ করতেন। পুলিশ এখন অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে ওই ফোন ব্যবহার করছে।
দলিত নারীর ওপর ধর্ষণের বিষয়টি তাঁর মা–বাবা জানতেন না বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর বিষয়ে সিডব্লিউসির প্রধান ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ওই নারীর সুরক্ষার জন্য তাঁকে সিডব্লিউ–সংশ্লিষ্ট একটি আশ্রয়কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। তাঁকে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। একজন মনোবিজ্ঞানীও তাঁকে দেখছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এমন সময় এ খবর সামনে এসেছে, যখন ইরানে চালানো হামলার প্রথম দিনই দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।
মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না। যতক্ষণ না তারা তা করছে, ততক্ষণ আমরা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পেছনে লাগার বিষয়ে, এমনকি আলাপও করছি না।’
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার ফক্স নিউজকে বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’
ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’
নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।