নয়াদিল্লির রাইসিনা হিলে নিজ কার্যালয় থেকে ১৯৭১ সালে ডিসেম্বরে ভারতের কাছে পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের আইকনিক ছবিটি সরিয়ে ফেলেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদি। ওই জায়গায়  ‘কর্ম ক্ষেত্র’ নামে নতুন একটি চিত্রকর্ম বসানো হয়েছে। এমন পদক্ষেপ সাবেক অনেক সেনাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সোমবার ছবি সরানোর বিষয়ে কথা বলেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদি।

এনডিটিভি অনলাইন জানিয়েছে, পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক ছবিটি সেনাপ্রধানের অফিসের লাউঞ্জের দেয়ালেই থাকত। গত বছরের ডিসেম্বরে দপ্তরে সংস্কারের কাজের জন্য ছবিটি নামিয়ে নেয়া হয়। তবে পরবর্তীতে ছবিটি আর সেনাপ্রধানের কার্যালয়ে ফিরিয়ে আনা হয়নি। ওই ছবিটি পাঠানো হয় মানেকশ কনভেনশন সেন্টারে। আর তার জায়গায় সেনাপ্রধানের কার্যালয়ের লাউঞ্জে একটি নতুন শিল্পকর্ম বসানো হয়।

এই পদক্ষেপের সমর্থনে সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, “আপনি যদি ভারতের সোনালি ইতিহাস দেখেন - এর তিনটি অধ্যায় রয়েছে- ব্রিটিশ যুগ, মুঘল যুগ এবং তার আগের যুগ। আমরা যদি এর সঙ্গে সেনাবাহিনীর লক্ষ্য সংযুক্ত করতে চাই, তাহলে প্রতীকগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।”

প্রজন্মগত পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “নতুন পেইন্টিংটি ২৮ মাদ্রাজ রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল টমাস জ্যাকব তৈরি করেছেন, যিনি বাহিনীর তরুণ প্রজন্মের সদস্য।” 

ভারতীয় সেনাবাহিনীর মতে, “কর্ম ক্ষেত্র নামে নতুন চিত্রকর্মের অর্থ ‘ফিল্ড অব ডিডস’ বা ‘কর্মের ক্ষেত্র’। এটি সেনাবাহিনীকে ধর্মের রক্ষক হিসেবে এমনভাবে চিত্রিত করে, যা জাতির মূল্যবোধ রক্ষা এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত সমন্বিত শক্তিতে তার বিবর্তনের প্রতিফলন।”
 
ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, “বর্তমান বাস্তবতা বিবেচনা করেই নতুন চিত্রকর্মটি তৈরি করা হয়েছিল।”
 

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ