খুলনা-৬ (কয়রা ও পাইকগাছা) আসনের সাবেক এমপি আকতারুজ্জামান বাবু ও তিন পুলিশ কর্মকর্তার নামে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা হয়েছে। নুরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক স্কুলশিক্ষক বাদী হয়ে মঙ্গলবার কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন।

মামলায় স্থানীয় তিন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১০৮ নেতাকর্মীকেও আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে আছেন– কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহারুল ইসলাম, বাগালী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ গাজী, একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সাত্তার পাড়, কয়রা থানা পুলিশের উপপুলিশ পরিদর্শক মো.

সালাউদ্দিন, এএসআই আশরাফুজ্জামান ও নাসির উদ্দিন।

অভিযোগ করা হয়েছে, মামলার আসামিরা বিভিন্ন সময়ে বাদীর কাছে চাঁদা দাবি করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। মামলায় জড়িত থাকা পুলিশ সদস্যরা সাবেক এমপি বাবুর নির্দেশে নাশকতার মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে ও ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করেছেন। বাদীসহ অন্যরা একটি মামলায় খুলনা জেলা আদালতে হাজিরার জন্য যাওয়ার পথে এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা ও অজ্ঞাতনামা শতাধিক ব্যক্তি তাদের গতিরোধ করে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তারা বাদীর কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরবর্তী সময়ে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় বাদীর বসতঘরে প্রবেশ করে তাঁর স্ত্রীসহ পরিবার সদস্যদের অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি করে নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়।

মামলার বাদী কয়রা উপজেলার শরিষামুঠ গ্রামের নূরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আসামিরা যোগসাজশে আমিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করেছে। পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। বিভিন্ন সময়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে চাঁদা আদায়সহ ঘরবাড়িতে লুটপাট করেছে। এখন ন্যায়বিচার পাবেন এ আশায় মামলা করেছেন। 

গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে আকতারুজ্জামান বাবুসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পলাতক। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে বিভিন্ন ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার ৪  

বন্দরে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামীসহ  বিভিন্ন ওয়ারেন্টে ৪ পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের  বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর)  দুপুরে উল্লেখিত ওয়ারেন্টে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার ২২ নং ওয়ার্ডের লের্জাস ১নং গল্লী এলাকার মৃত আজিম মিয়ার ছেলে বন্দর থানা ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানার একাধিক জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী রুবেল (৩৪) একই থানার সোনাকান্দা মসজিদ এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে জিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী জনি (৩৫)|r

একই থানার রামনগর এলাকার মৃত সিদ্দিক মুন্সী ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত  আব্দুল কুদ্দুস (৫২) ও গকুলদাশেরবাগ এলাকার আনোয়ার মিয়ার ছেলে সিআর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ইব্রাহিম (৩০)। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ