ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ঐতিহ্যবাহী বিভাগ একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমসের উদ্যোগে বিবিএ ৩১তম ব্যাচের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ড. আবদুল্লাহ্ ফারুক কনফারেন্স হলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মাকছুদুর রহমান সরকার।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই জুলাই ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে আত্মদানকারী ছাত্র-জনতার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিবিএ প্রোগ্রামের পরিচালক ও বিভাগীয় ছাত্র উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড.

মাহমুদ ওসমান ইমাম, বিভাগের প্রথিতযশা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক এম মঈন উদ্দিন খান, অধ্যাপক ড. রিয়াজুর রহমান চৌধুরী এবং আরএকে সিরামিকসের কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম।

বিভাগীয় স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আমিরুস সালাত নবীনদের উদ্দেশ্যে একাডেমিক নিয়মনীতি, বিভাগীয় শৃঙ্খলা ও বিভিন্ন দাপ্তরিক নির্দেশনা তুলে ধরেন।

বিশেষ অতিথিরা তাঁদের বক্তব্যে বিভাগীয় পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনমুখী ও কর্মসংস্থানমুখী দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

তাঁরা বলেন, বর্তমান প্রতিযোগিতা পূর্ণ বিশ্বে একাডেমিক জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি সৃজনশীলতা ও নৈতিকতা রক্ষা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তাঁর প্রেরণামূলক বক্তব্যে তিনি নবীনদের উৎসাহিত করেন চিন্তায় বৈচিত্র্য আনার, নিজের দক্ষতা গড়ে তোলার এবং নেতৃত্বগুণ বিকাশের প্রতি। 

তিনি বলেন, “একাডেমিক শিক্ষার বাইরেও আজকের শিক্ষার্থীদের হতে হবে চিন্তাশীল, দায়িত্বশীল ও উদ্ভাবনী।”

অনুষ্ঠান শেষে নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাস ট্যুরের আয়োজন করা হয়, যেন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন।

উৎসবমুখর এই আয়োজনে নবীন শিক্ষার্থীদের মুখে ছিল আনন্দ ও আগ্রহের ছাপ। বিভাগীয় শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং সিনিয়রদের সহযোগিতায় নবীনদের জন্য দিনটি হয়ে ওঠে স্মরণীয়।

ঢাকা/নাজমুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ