‘মায়ের চরিত্রে অভিনয় করার পরেও দর্শক ক্রাশ খেয়েছেন’
Published: 15th, January 2025 GMT
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হৈচৈ এ মুক্তি পেয়েছে স্বস্তিকা মুখার্জী অভিনীত ‘নিখোঁজ ২’ ওয়েব সিরিজ়। এই সিরিজে একজন দায়িত্বশীল পুলিশ অফিসার এবং একজন মা হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন স্বস্তিকা। স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে স্বস্তিকা জানিয়েছেন, পুলিশ শুধুই যে অপরাধ দমন করছে এমন নয়। এই চরিত্রটির মধ্যে পুলিশ ও মা পাশাপাশি চলছে। মায়ের জেদ আর পুলিশের দক্ষতা দুটিই এই চরিত্র দাবি করে। খানিকটা সত্য আর অনুভূতির রেষারেষি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই চরিত্রে।
মায়ের চরিত্রে অভিনয় করার প্রভাব কেমন হতে পারে? এই প্রশ্নের জবাবে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাতকারে স্বস্তিকা বলেছেন, ‘‘আমি ২০ বছর বয়সেই মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছি। আমার জীবনের প্রথম সিনেমা 'মস্তান', জিৎ-এর সঙ্গে ছিল। সেখানেও আমি মায়ের চরিত্রেই অভিনয় করেছিলাম। সিনেমাতে আমার দশ বছরের একটা সন্তান দেখানো হয়েছিল। সেই বিচারে দর্শক আমাকে শুরু থেকেই মায়ের চরিত্রে দেখেছেন। কিন্তু তারপরেও তো তারা ক্রাশ খেয়েছেন। ফলে আমার মনে হয় না যে, মায়ের চরিত্র না করে শুধুই নায়িকা থাকলে মানুষ আমাকে বেশি ভালোবাসা দিতেন, বা আমার উপর বেশি করে ক্রাশ খেতেন। আমি মনে করি, মানুষ আমাকে ভালোবাসেন, আমার কাজ দেখতে চান আর সঙ্গে আমার ব্যক্তিত্বটাও হয়তো কিছুটা ম্যাটার করে।’’
ব্যক্তিজীবনে স্বস্তিকা এক মেয়ের মা। আর মা হিসেবে অসারধারণ এই অভিনেত্রী। তিনি জানান, সাত দিন ২৪ ঘণ্টা শুধুমাত্র মেয়ের জন্য ফোন খোলা রাখেন। মেয়ে দিতির ফোন নম্বরটা ইমার্জেন্সি করা আছে। ফলে মেয়ে কল দিয়ে ফোন সাইলেন্ট থাকলেও রিং হয়। স্বস্তিকা কোনো শুটিংয়ে থাকলে সেটে বলে রাখেন মেয়ে কল করলে অবশ্যই ফোন ধরতে দিতে হবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা।গত মঙ্গলবার এনসিপির সদস্যসচিব আক্তার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠিতে ফরিদপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক করা হয়েছে মো. আব্দিুর রহমানকে এবং সংগঠক করা হয়েছে মো. রাকিব হোসেনকে।
এছাড়া ফরিদপুর অঞ্চলের পাঁচটি জেলা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলার দু’জন করে ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে যে দু’জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের একজন হলেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। তিনি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহ্মুদা বেগমের মেয়ে এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ নাসিরের ভাগনি। দোলার বাবা সৈয়দ গোলাম দস্তগীর পেশায় ব্যবসায়ী।
সৈয়দা নীলিমা ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগীত বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি কিছুদিন একটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। বর্তমানে ‘সিনে কার্টেল’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী।
এ বিষয়ে সৈয়দা নীলিমা দোলা বলেন, ‘আমার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী রাজনীতি করা সংক্রান্ত কিছু পোস্ট আপনাদের সামনে আসতে পারে। আমি নিজে এর একটা ব্যাখ্যা রাজপথের সহযোদ্ধাদের দিয়ে রাখতে চাই। আমি ১০ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন করছি। নো মেট্রো অন ডিইউ মুভমেন্ট, রামপাল বিরোধী আন্দোলন, ডিএসএ বাতিলের আন্দোলন, সুফিয়া কামাল হলকে ছাত্রলীগ মুক্ত করাসহ অন্যান্য সকল আন্দোলনে আমি পরিচিত মুখ। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমার লেখালেখিও পুরনো। ২০১২ সালে পরিবার ছাড়ার পর রাজপথই আমার আসল পরিবার। জুলাইয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অন্যতম মামলা তাহির জামান প্রিয় হত্যা মামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরাসরি ছাত্রলীগ করে অনেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আমি কখনও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, তাই আমার নাগরিক কমিটির সদস্য হতে বাধা কোথায়? এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা জেনে-বুঝে এবং আমি ‘লিটমাস’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই আমাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ নেত্রীর মেয়ে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার এনসিপি কমিটি গঠনে-এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব সোহেল রানা বলেন, ‘তার (সৈয়দা নীলিমা) পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী লীগ। আমরা দেখেছি, গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে তার মামা গোলাম নাসির কিভাবে আমাদের ওপর নির্বিচার গুলি ছুড়েছিল। তার মায়ের কর্মকাণ্ডও আমাদের অজানা নয়।’
সৈয়দা নীলিমা দোলার সঙ্গে আমাদের পরিচয় পর্যন্ত নেই মন্তব্য করে সোহেল রানা বলেন, ‘আসলে দায়িত্ব দেওয়ার আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হলে ভাল হতো। যাচাই-বাছাই করা হলে এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।’