মিয়ানমার সীমান্ত এবং কাঁটাতারের বেড়া
Published: 15th, January 2025 GMT
বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের স্থল সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২৭১ কিলোমিটার। সীমান্তের ওপাশে রয়েছে প্রতিবেশী দেশটির রাখাইন ও চিন স্টেট। দুই রাজ্যের প্রায় সম্পূর্ণ অংশ এখন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে। ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে রাখাইনের ঘনিষ্ঠতা থাকলেও মিয়ানমার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে সম্পর্ক খুব মধুর– এমনটি বলা যাবে না।
আশির দশক থেকে রাষ্ট্রীয় ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শিকার হয়ে রাখাইনে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা দফায় দফায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আশ্রয়ের খোঁজে বাংলাদেশে ঢুকছে। জাতিগত নিধনের মুখে ২০১৭ সালেই বাংলাদেশে প্রবেশ করে ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। পুরোনোদের প্রত্যাবর্তন দূর কা বাত, এখনও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢুকতে বাধ্য করছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার ও উগ্রপন্থি আরাকানরা। ফলত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ইতোমধ্যে ১২ লাখ ছাড়িয়েছে।
মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের স্থল সীমান্তের বড় অংশ পড়েছে বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায়। উন্মুক্ত ও দুর্গম এ সীমান্ত দিয়ে গৃহযুদ্ধে টালমাটাল দেশটি থেকে রোহিঙ্গা জনস্রোত তো আছেই; মাদক, অস্ত্র চোরাচালানসহ নানা অপরাধের স্বর্গ হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর-তীরবর্তী দুই দেশের অরক্ষিত সীমান্ত।
নিরাপত্তার অজুহাতে ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া দেওয়া শুরু করে মিয়ানমার জান্তা সরকার। ওই সময় আপত্তি জানায় ঢাকা। পরবর্তী সময়ে উভয় দেশই একমত হয়, ‘কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে না।’ এ পর্যন্ত ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে তারা। কিন্তু আরও ৭১ কিলোমিটারে বেড়া নেই। যেখানে বেড়া রয়েছে, তাও যথেষ্ট নাজুক। অভিযোগ রয়েছে, এই বেড়া ভাঙতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এবং আরাকান আর্মির হাত রয়েছে, যাতে রোহিঙ্গা বিতাড়ন সহজ হয়।
এদিকে, গত দেড় দশকে প্রতিবেশী দুই দেশের আর্থসামাজিকসহ নানা সূচকে আমূল পরিবর্তন এসেছে। গড় আয় ও আয়ু, সামাজিক নিরাপত্তাসহ নানা সূচকে মিয়ানমারকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। যেমন বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু গড় বার্ষিক আয় যেখানে ২৭৮৪ ডলার, সেখানে মিয়ানমারে মাত্র ১২৩০ ডলার। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু যেখানে ৭২ বছর, মিয়ানমারের ৬৭। অন্যান্য সূচকেও বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো অবস্থানে।
এটা ঠিক, বাংলাদেশ নীতিগতভাবে প্রতিবেশী দেশের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়ার পক্ষে নয়। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত হুমকি বাড়িয়েছে গৃহযুদ্ধকবলিত মিয়ানমার। সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর লড়াইয়ে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বহিঃশক্তির বদান্যতায় মিয়ানমারে এখন অস্ত্রের ছড়াছড়ি। অরক্ষিত সীমান্ত হয়ে এই অস্ত্রশস্ত্র যে বাংলাদেশে ঢুকছে না বা ঢুকবে না– তার নিশ্চয়তা কী?
যেমন গত ৯ জানুয়ারি খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী কক্সবাজারে খুন হন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রটি এসেছে মিয়ানমার থেকে। অবৈধ অস্ত্র সহজলভ্য হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলারও নিরাপদ রুট হতে পারে উন্মুক্ত সীমান্ত। বিশেষত পার্বত্য চট্টগ্রামে মিয়ানমারের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর তৎপরতার যেসব কথা শোনা যায়, সেগুলো মাথায় রাখা জরুরি।
কক্সবাজার, বান্দরবানসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে বড় বোঝা হয়ে ওঠা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আরও অনুপ্রবেশ বড় মাথাব্যথার কারণ। টেকনাফ, উখিয়ার জনপদের মূল স্রোতে ইতোমধ্যে মিশে গেছে অনেকে। সেখানে কে রোহিঙ্গা, কে বাংলাদেশি; বোঝা মুশকিল। কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যার পর টেকনাফে যাতায়াতে মেরিন রোডও নিরাপদ নয়। অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতির খবর প্রায়ই সমকালসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসছে। স্থানীয় দুর্বৃত্তদের সঙ্গে এসব অপরাধে নেতৃত্ব দিচ্ছে রোহিঙ্গারা। অপরাধীদের মধ্যেও বাড়ছে রক্তপাত ও খুনোখুনি।
মিয়ানমারে উৎপাদিত ইয়াবা চোরাচালানের সহজ রুট এই অরক্ষিত সীমান্ত। এমনও শোনা যায়, কক্সবাজার ও বান্দরবান অঞ্চলে রাতারাতি ধনী হওয়ার নেশায় সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও জড়িয়ে পড়ে ইয়াবা ব্যবসায়।
শুধু ভারত সীমান্তেই যে বাংলাদেশিরা মারা পড়ছে, তা নয়। সংবাদমাধ্যম ঘেঁটে দেখা গেছে, গত এক দশকে ১০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নিহত হয়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির গুলিতে। গত বছরই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে একজন এবং টেকনাফের নাফ নদে দু’জনকে হত্যা করেছে বিজিপি। অথচ আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে না পেরে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিজিপিসহ মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর কয়েকশ সদস্য বেআইনিভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করলেও ঢাকা তাদের সসম্মানে ফেরত পাঠায়।
এটাও অনস্বীকার্য, মিয়ানমারের প্রতি আমরা যতই সৎ প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করি না কেন, মিয়ানমার খুব কমই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে। দেশটি মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশের আকাশসীমার পাশাপাশি স্থল ও সামুদ্রিক সীমাও লঙ্ঘন করছে। মিয়ানমারের গোঁয়াতুর্মিতে সমুদ্রসীমার দাবি নিয়ে ঢাকাকে আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত যেতে হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গে এই যে অস্বস্তিকর সম্পর্ক, সে জন্যও কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগের পাশাপাশি সীমান্তে আটঘাট বাঁধা জরুরি।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তঘেঁষা রাখাইন রাজ্যে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠার কারণেও অরক্ষিত সীমান্তের সুরক্ষার প্রশ্নটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কেননা, রোহিঙ্গা প্রশ্নে সামরিক জান্তা ও আরাকান আর্মির অবস্থানে এখন পর্যন্ত ধর্তব্য পার্থক্য দেখা যাচ্ছে না। ফলে সামনে হয়তো আরও রোহিঙ্গার ঢল সামলাতে হতে পারে ঢাকাকে।
স্বীকার করতেই হবে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অরক্ষিত রেখে কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়া, বান্দরবান অঞ্চল নিরাপদ রাখা যাবে না। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশেরই উচিত ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তকে কাঁটাতারের বেড়ার আওতায় আনা। যে ঢাকা এক সময় সীমান্ত বেড়া নির্মাণে নেপিদোর কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছিল, এখন তাকেই মাদক, অস্ত্র চোরাচালান ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং আন্তঃসীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার প্রশ্নে দ্রুততম সময়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করতে হবে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ হয়তো আরও আগেই দরকার ছিল। তাহলে হয়তো রোহিঙ্গা, অস্ত্র ও মাদকের ঢল এতটা বড় হয়ে উঠত না। তবে সময় ফুরিয়ে যায়নি। বেটার লেট দ্যান নেভার।
হাসান জাকির: সহকারী সম্পাদক, সমকাল
prantojakir@gmail.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘কৃষির উন্নয়নে জাপানের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করা হবে’
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, “জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম প্রধান অংশীদার ও পরীক্ষিত বন্ধু। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)-এর মাধ্যমে দেশটি বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে আসছে। আগামী দিনে বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে জাপানের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করা হবে।”
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত Saida Shinichi-এর সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কৃষি খাতে সহযোগিতা বিশেষ করে কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ, ফসলের পোস্ট হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট ও সংরক্ষণ, জলবায়ু ও স্মার্ট কৃষি, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা, ২০২৭ সালে জাপানের ইয়োকোহামাতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সপো’তে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ, কৃষি বিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা, নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পুলিশ সংস্কার, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যু সহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “জাপান বাংলাদেশের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আগামী দিনগুলোতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।”
উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, “২০২৭ সালে জাপানের ইয়োকোহামা'তে ‘আন্তর্জাতিক হর্টিকালচার এক্সপো’ অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক এ এক্সপো'তে বাংলাদেশকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ।”
উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। আর জাপান কৃষি খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারী দেশ। তাই জাপান বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিশেষ করে কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ, ফসলের পোস্ট হার্ভেস্ট ম্যানেজমেন্ট ও সংরক্ষণ, জলবায়ু ও স্মার্ট কৃষি, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহযোগিতা করতে পারে।”
তিনি বলেন, “জাপান বাংলাদেশের কৃষি পণ্য সংরক্ষণে আধুনিক হিমাগার স্থাপন ও কুলিং ভ্যান সরবরাহ করে সহযোগিতা করতে পারে। তাছাড়া জাপান আমাদেরকে আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি দিয়ে সহায়তা করতে পারে।”
তিনি এসময় রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি তৈরির জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “কৃষি বিষয়ক দু'দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সর্বশেষ সভা ২০২৪ সালের মে মাসে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দ্রুত এ সংক্রান্ত পরবর্তী সভা আয়োজন করা দরকার।”
উপদেষ্টা জানান, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের পরবর্তী সভা এ বছরের অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ সভা আয়োজনের বিষয়ে বাংলাদেশ সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূতের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমানে ঢাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। তবে এটির আরও উন্নতির সুযোগ রয়েছে এবং আমরা এ ব্যাপারে চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন হবে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কোনো সুযোগ নেই, বরং দিন দিন এটির উন্নতি ঘটবে বলে আমি আশা করছি।”
পুলিশের সামর্থ্য ও গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতির তুলনায় বর্তমানে পুলিশের সামর্থ্য, মনোবল ও বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেশি বেড়েছে।”
তিনি এসময় আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় জাপানের সহায়তা কামনা করেন। তাছাড়া তিনি নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডকে পেট্রোল ভেসেল ও আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সহযোগিতা এবং অধিক সংখ্যক পুলিশ সদস্যকে জাপানে উন্নত প্রশিক্ষণে প্রেরণের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, আগামী ইন্টারপোল নির্বাচনে নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে জাপানের পক্ষ থেকে মনোনয়ন প্রদান করা হবে। উপদেষ্টা এ পদে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাপানকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস প্রদান করেন।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এস