বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মোহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, “ফ্যাসিবাদ মোকাবিলায় রাজপথে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে, এ ঐক্যের বিরুদ্ধে কেউ ভূমিকা পালন করলে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব প্রধান দুই দল বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বন্ধ করুন। নিজেরা নিজেদের মধ্যে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ছেন, এর সুবাদে ফ্যাসিবাদ আবারও বাংলাদেশে পুর্নবাসিত হলে আপনাদের বাংলাদেশের জনগণ কখনও ক্ষমা করবে না।” 

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ৯ টায় শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠে পটুয়াখালী খেলাফত মজলিস আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

মামুনুল হক আরও বলেন, “বাংলাদেশ রক্ষা ও বিদেশি আধিপত্যবাদ, ফ্যাসিবাদি অপশক্তি রুখে দিতে রাজপথে গড়ে ওঠা ঐক্য আরও দীর্ঘদিন সমুন্নত রাখতে হবে। শুধু বাংলাদেশ নয়-ভারতীয় উপমহাদেশেও একশ বছর খুঁজলেও শেখ হাসিনার মতো এতো ভিরু নেতা পাওয়া যাবে না। সে শুধু দেশের না আওয়ামী লীগেরও বারটা বাজিয়ে গেছে। এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে এদেশে আর কেউ আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে মাথা উঁচু করে রাজনীতি করতে পারবে না। দল ও নেতা কর্মীদের ভালোবাসলে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মতো কারাবরণ করতো, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেত না। শেখ হাসিনা চেয়েছিলো বাংলাদেশকে বিভক্ত করতে। রাজনীতির দর্শন ছিলো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষ বলে বিভাজন রাজনীতি। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই তাদেরকে রাজাকারের ট্যাগ দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার শহিদ জিয়াউর রহমানকেও রাজাকার ট্যাগ দিয়েছিলো। শেখ হাসিনার পক্ষে থাকলে মুক্তিযোদ্ধা আর বিপক্ষে গেলে রাজাকার।”  

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদ সংবিধান থেকে বাতিল করে আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দেশে যে সকল গণহত্যা অন্যায় অবিচার হয়েছে তার বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করাসহ পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে এনে দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যয় করা এবং দেশ সংস্কার পূর্বক সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।” 

এছাড়া সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও  শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় ঘটে যাওয়া গণহত্যার বিচার দাবি জানান খেলাফল মজলিসের নেতারা। 

খেলাফত মজলিস পটুয়াখালী জেলা শাখার  সভাপতি মাওলানা আব্বাস আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন। 

সমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় জেলা এবং উপজেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/ইমরান/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত

ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স। 

গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’

পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।

আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।

সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’ 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’

তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের ‘কঠোরতম ভাষায়’ নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন
  • হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
  • ‘গাজায় গণহত্যা চলছে, আমি সেই গণহত্যার নিন্দা করছি’