রাঙামাটতে উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৯ নেতার পদ স্থগিত
Published: 17th, January 2025 GMT
রাঙামাটিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে দলের ভাবমূর্তির ক্ষুণ্ণ হওয়ায় জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক, যুবদল, ছাত্রদলের ৯ নেতাকর্মীর দলীয় সকল পদ-পদবি স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও চাঁদাবাজির অভিযোগ তদন্ত করতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি।
রাঙামাটি জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু নাছির ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করাসহ দলের নীতি ও আদর্শপরিপন্থি বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে বাঘাইছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ওমর আলীকে পৃথক চিঠি এবং অপর আট জনকে আরেকটি চিঠির মাধ্যমে এই স্থগিতাদেশ প্রদান করা হয়।
চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, দলের গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে সুনাম ও শৃঙ্খলা নষ্ট করায় আপনাদের সকল পর্যায়ের দলীয় পদ-পদবি ও কার্যক্রম গঠনতন্ত্রের ৫(গ) ধারা মোতাবেক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো। এই সময়ে আপনি/আপনারা কোনো প্রকার দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও দলীয় পদ-পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ বলেন, “চাঁদাবাজিসহ যেকোনো অভিযোগের বিষয়ে দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ হলেই কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
তিনি আরো বলেন, “প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ আসার সাথেই সাথেই আমরা অভিযুক্তদের পদপদবি স্থগিত করেছি এবং অভিযোগের বিষয়ে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি মো. আবু নাছিরকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
ঢাকা/শংকর/ইমন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র স ছ ত রদল র দল র স র দল য় সদস য তদন ত উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।