গ্যালারিতে ‘ভুয়া ভুয়া’ শুনে হতবাক লিটন
Published: 18th, January 2025 GMT
সদ্য সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া লিটন দাস, যিনি দলের প্রথম জয়ে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা, মাত্র এক ম্যাচ পরেই গ্যালারির অপমানজনক স্লোগানের শিকার হলেন। চট্টগ্রামের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে না পারায় দর্শকদের ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানের মুখোমুখি হতে হয় তাকে।
গত ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে লিটন ১৭ বলে ১৩ রান করে আউট হন। তার দল হারে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এরপর ফিল্ডিংয়ের সময় গ্যালারি থেকে ভেসে আসে অবমাননাকর স্লোগান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সীমানার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা লিটন ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান শুনে পেছন ফিরে তাকান। কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও তার চেহারায় ফুটে ওঠে অসহায় ভাব।
প্রশ্ন উঠেছে, মাত্র এক ম্যাচের পারফরম্যান্স ভুলে গিয়ে কীভাবে দর্শকরা একজন ক্রিকেটারের প্রতি এমন আচরণ দেখাতে পারেন? অনেকে এ ঘটনায় দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। চট্টগ্রামের অনেক সমর্থক ঘটনার জন্য লিটনের কাছে সামাজিক মাধ্যমে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তারা লিখেছেন, ‘চট্টগ্রামের মানুষ এমন নয়। আমরা লিটনের প্রতি সম্মান জানাই।’
ক্রিকেট বিশ্লেষক সৈয়দ আবিদ হোসেন সামি এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা করুন, কিন্তু কাউকে অপমান করার অধিকার নেই। লিটনের জায়গায় নিজেকে রাখুন। যদি এমন আচরণের শিকার হতেন, তবে আপনার কেমন লাগত?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা চলছে। লিটনের প্রতি এমন আচরণে ক্রিকেটপ্রেমীদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে বলে মত দিচ্ছেন অনেকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় যাত্রীকে তুলতে অস্বীকৃতি উবার চালকের
চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য সম্প্রতি রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবারের একটি গাড়ি ডেকেছিলেন মাইকেল। গাড়িটি আসার পর দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতে যেতেই বাধল বিপত্তি। ‘অতিরিক্ত মোটা’ হওয়ায় চালক তাঁকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানান। যুক্তরাষ্ট্রে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচের জনপ্রিয় স্ট্রিমার মাইকেল। ওই প্ল্যাটফর্মে তাঁর ৬০ হাজারের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। তিনি তাঁর কল অব ডিউটি গেমপ্লের জন্য পরিচিত।
মাইকেল সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওর শিরোনামে তিনি লিখেছেন, ‘আমি মজা করছি না। আমার উবার চালক বলেছেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। তাই তাঁর গাড়িতে আমাকে নেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি তিনি আমার দিকে বন্দুক তাক করার হুমকিও দিয়েছেন।’ মাইকেলের ওই ভিডিও পাঁচ কোটিবারের বেশি দেখা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, মাইকেল উবারের গাড়িচালককে বলছেন, ‘আপনি এইমাত্র বললেন, আমি নাকি অনেক বেশি মোটা। আমি কিন্তু আপনার ভিডিও করছি।’ উত্তরে উবার চালক নারী বলেন, ‘এটা যুক্তি আর বাস্তবতার ব্যাপার। আর আমি এটা বলার অধিকার রাখি।’ কিন্তু বাক্যটি শেষ করার আগেই মাইকেল তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘না, আপনি এটা বলতে পারেন না।’ তখন ওই নারী হাত উঁচিয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি পারি। এটা আমার গাড়ি। আপনি এখান থেকে চলে যান।’
বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই উবার চালক বলেন, ‘আপনি কি চান, আমি আমার বন্দুকটা বের করি?’ এ কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মাইকেল গাড়ির দরজা বন্ধ করে সেখান থেকে চলে যান। এক্সে দেওয়া অন্য একটি পোস্টে মাইকেল বলেন, এ ঘটনার কারণে তিনি সেদিন চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেননি।
উবারের নীতি অনুযায়ী, চালকেরা বৈধ কারণ ছাড়া কোনো যাত্রীকে গাড়িতে তুলতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না। ওজন, লিঙ্গ, বর্ণ কিংবা ধর্মের ভিত্তিতে কোনো যাত্রীর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা সম্পূর্ণ নিষেধ।
এই ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর উবার চালকের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন অনেকে।