দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) নিউ মার্কেট এলাকায় এই দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। ঘটনার বিবরণ দিয়ে শনিবার বিকেলে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন শাওন। 

মেহের আফরোজ শাওন লিখেছেন, ঘটনা খুবই সরল ও অনাড়ম্বরপূর্ণ। বড় ছেলে নিষাদ হুমায়ূনকে নিয়ে গিয়েছিলাম নিউমার্কেট তার বাবার প্রিয় বাজারে। সুন্দরভাবে কাজ শেষ করে গাড়ির কাছে ফিরছিলাম। জুম্মার সময়, দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট। নিউমার্কেটের ভেতরের অংশের চলাচলের রাস্তায় বসা মুসুল্লিদের নামাজ প্রায় শেষের দিকে। রাস্তা একদম ফাঁকা। ডান বাম ভালো করে দেখে যেই না রাস্তা পার হওয়া ধরেছি, কোথা থেকে মাটি ফুঁড়ে এলো ‘বাংলার টেসলা’ খ্যাত এক অটোচালিত রিকশা! কোনোরকম বেলের টুংটাং না করে “আআআপুউউউ.

...সরেএএএন’’ বলে ডাক, কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিন যাত্রীসহ চালক মহাশয় এক সজোর ধাক্কা দিলেন। প্রবল বেগের সেই ধাক্কায় আমি ৩৬০ ডিগ্রি  ঘুরে রাস্তায় পড়ে গেলাম আর ‘বাংলার টেসলা’র পেছনের চাকা আমার বাম পায়েরর উপর দিয়ে চলে গেল।

পরের ঘটনা উল্লেখ করে শাওন লিখেছেন, টেসলার চালককে ধন্যবাদ, তিনি পালিয়ে না গিয়ে নিজের দোষ কিছুটা স্বীকার করেছেন। আশেপাশে থেকে ছুটে আসা মানুষদের ধন্যবাদ, নানা জ্ঞান দিয়ে আমাকে সাহায্য করার চেষ্টার জন্য। কৃতজ্ঞতা সেই চা দোকানদারের প্রতি, যিনি নিজ দোকানের ফিল্টার পানির জার পুরোটা ঢেলে আমার পায়ে তাৎক্ষণিক আরাম দিয়েছেন।

অভিনেত্রী লিখেছেন, অর্পিতা, তুই সাথে না থাকলে কীভাবে যে ঐ সময়টুকু সামলাতাম জানি না। চোখের সামনে থেকে অন্ধকার সরার পর দেখলাম নিজের পুরো শরীরের ভার তোর উপর ছেড়ে আমি ঢলে পড়েছি আর তুই ঠাণ্ডা মাথায় আমাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছিস, পাশাপাশি ঘটনার আকস্মিকতায় নার্ভাস হয়ে পড়া নিষাদকে সামাল দিচ্ছিস! শুধু মুখে মুখে ‘শাওন মা’ না তুই আমার শক্তপোক্ত মেয়ের দায়িত্ব-ই পালন করে দেখালি। আমি তোকে নিয়ে গর্বিত।

নিজের শরীরের বর্তমান আপডেট জানিয়ে শাওন বলেছেন, পরম করুণাময় আল্লাহর দয়ায় পা ভাঙেনি। তবে পেশী ও কোমল টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পূর্ণ বিশ্রাম আর ওষুধে আগামী কিছুদিনের মধ্যে সেরে যাবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ঘটন ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ