Risingbd:
2025-06-16@14:00:45 GMT

যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হলো টিকটক 

Published: 19th, January 2025 GMT

যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হলো টিকটক 

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটক অ্যাপের কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়েছে। দেশটিতে এখন অ্যাপল ও গুগল অ্যাপ স্টোরেও অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে না। রবিববার (১৯ জানুয়ারি) বিবিসির অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা আগে অ্যাপটি অফলাইনে চলে গিয়েছে। মার্কিন ব্যবহারকারীরা আর টিকটকে ঢুকতে পারছেন না।

মার্কিন ব্যবহারকারীরা অ্যাপটিতে ঢুকতে চেষ্টা চালালে একটি বার্তা দেখাচ্ছে টিকটক, যেখানে বলা হয়েছে- টিকটক নিষিদ্ধ করার জন্য একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, যার অর্থ হচ্ছে, আপনি এখন টিকটক ব্যবহার করতে পারবেন না।” 

আরো পড়ুন:

টিউলিপকে দুর্নীতিবাজ বলে আখ্যা দিলেন ইলন মাস্ক

ভয়াবহ দাবানলের হুমকিতে ক্যালিফোর্নিয়ার ৬০ লাখের বেশি মানুষ

টিকটকের বার্তায় আরো লেখা রয়েছে, “আমরা ভাগ্যবান যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর টিকটক পুনরায় চালুর বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন।” 

এর আগে শুক্রবার টিকটকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিদায়ী জো বাইডেন প্রশাসন শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত না বদলালে রবিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হয়ে যাবে টিকটক।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সোমবার (২০ জানুয়ারি) দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি ‘সম্ভবত’ টিকটককে নিষেধাজ্ঞা থেকে ৯০ দিনের জন্য অব্যাহতি দেবেন।

গত শনিবার ট্রাম্প এনবিসি নিউজকে বলেন, “৯০ দিনের মেয়াদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুব বেশি, কারণ এটি উপযুক্ত। যদি আমি এটি করার সিদ্ধান্ত নিই, তাহলে সম্ভবত সোমবারই এটি ঘোষণা করব।”

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ১৭ কোটিরও বেশি গ্রাহক রয়েছে। কিন্তু অ্যাপটির চীন-ভিত্তিক মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছে বাইডেন প্রশাসন। 

মার্কিন প্রশাসনের আশঙ্কা, টিকটকের মাধ্যমে চীন সরকার মার্কিন জনগণের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে। তবে বরাবরই চীন এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্ট গত বছরের এপ্রিলে পাস হওয়া নিষেধাজ্ঞা আইনটি বহাল রাখেন। ওই আইন অনুসারে, চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সকে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে তাদের টিকটক প্ল্যাটফর্মটি মার্কিন কোনো কোম্পানি কাছে বিক্রি করতে হবে, অন্যথায় যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হবে টিকটক। 

টিকটকের দাবি, এই নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ কোটি টিকটক ব্যবহারকারীর জন্য বাকস্বাধীনতা সুরক্ষা লঙ্ঘন করে।

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটক ইস্যুটি সমাধানের করার আশ্বাস দিয়েছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। ওই অনুষ্ঠানে টিকটকের প্রধান নির্বাহী শো জি চিউ উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ট কটক ব যবহ র ট কটক র

এছাড়াও পড়ুন:

মহাবিশ্বের কেন্দ্র কোথায়

বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন প্রথমে মনে করতেন মহাবিশ্ব স্থির। তিনি বিশ্বাস করতেন আজকের মহাবিশ্বের আকার-আকৃতি কমবেশি ‘হয়তো’ আগের মতো একই ধরনের রয়েছে। আর তাই ১৯১৭ সালে আইনস্টাইন তাঁর আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ব্যবহার করে মহাবিশ্বের স্থির মডেল প্রস্তাব করেন। তবে পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞানী এডুইন হাবল গ্যালাক্সির (ছায়াপথ) বর্ণালি বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল। এরপর নিজের পুরোনো ধারণাকে ‘জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে মহাবিশ্ব সম্প্রসারণশীল হিসেবে মেনে নেন আইনস্টাইন।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্বের গাণিতিক কাঠামো ব্যবহার করে নতুন মডেল তৈরি করা হয়েছে। এই মডেল থেকে বোঝা যায়, মহাবিশ্ব আসলে গতিশীল এবং এটি ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে।

রোড আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী রব কয়নে বলেন, ‘আমি কয়েক দশক ধরে সাধারণ আপেক্ষিকতা বোঝার চেষ্টা করছি। ক্রমবর্ধমান মহাবিশ্বের ধারণা নিয়ে মাথা ঘামানো কঠিন মনে হতে পারে। মহাবিশ্বের মতো বৃহৎ কোনো কিছুর কেন্দ্র নেই, এমনটা কল্পনা করা কঠিন। পদার্থবিজ্ঞান অনুসারে এটাই কিন্তু বাস্তবতা।’

বিষয়টা জানতে হলে প্রথমে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ বলতে কী বোঝায়, তা জানতে হবে। পৃথিবীতে কোনো কিছুর সম্প্রসারণ মানে, কোনো কিছু বড় হচ্ছে এবং আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। মহাবিশ্বের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একরকম সত্য। টেলিস্কোপে দেখলে মনে হয়, দূরবর্তী গ্যালাক্সিগুলো যত দূরে অবস্থান করছে, তত দ্রুত সেগুলো পরস্পর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আর তাই মহাবিশ্বের সবকিছুই একসঙ্গে অন্য সবকিছু থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, এমনটাই বলা যুক্তিসংগত। ধারণাটি সূক্ষ্ম কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। মহাবিশ্বের সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করা সহজ। আতশবাজির বিস্ফোরণের মতো একটি বিগ ব্যাং দিয়ে ব্যাপারটা শুরু করা যায়। তারপর মহাবিশ্বের সব ছায়াপথ যেন কোনো কেন্দ্রীয় বিন্দু থেকে সব দিকে সরে যাচ্ছে। যদিও এই উপমা সঠিক নয় বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, সাধারণভাবে গ্যালাক্সিগুলো একে অপরের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, এমনটা বলা যাবে না। গ্যালাক্সিগুলোর মধ্যকার স্থান মহাবিশ্বের কাঠামোর মধ্যে সময়ের সঙ্গে ক্রমাগত প্রসারিত হচ্ছে। আর তাই গ্যালাক্সিগুলো দূরে সরে যাচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়, মহাবিশ্ব নিজেই প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আরও দূরে নিয়ে যাচ্ছে।

সাধারণ উপমা হিসেবে, বেলুনের পৃষ্ঠে কিছু বিন্দু আটকে দেওয়ার কথা বলা হয়। বেলুনে বাতাস দিলে তা প্রসারিত হয়। বিন্দুগুলো বেলুনের পৃষ্ঠে আটকে থাকে আর বাতাস বাড়ালে দূরে সরে যায়। যদিও তারা নড়াচড়া করে বলে মনে হতে পারে। আসলে বিন্দু ঠিক যেখানে আপনি রেখেছেন সেখানেই থাকবে। বেলুনের প্রসারণের কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব আরও বড় হয়। বেলুনের পৃষ্ঠ দ্বিমাত্রিক। আপনি যদি এটির ওপর দিয়ে হেঁটে বেড়ান, তাহলে আপনি সামনে এগিয়ে বা পেছনে যাবেন। বাঁয়ে বা ডানেও যেতে পারবেন। পৃষ্ঠ ছেড়ে না গিয়ে আপনি ওপরে বা নিচে যেতে পারবেন না। বেলুনের পৃষ্ঠ দ্বিমাত্রিক হলেও ভেতরের অংশ ত্রিমাত্রিক। সেখানে আপনি ওপরে বা নিচে যাওয়ার জন্য দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতাসহ যেকোনো দিকে অবাধ চলাচল করতে সক্ষম। এখানেই বিভ্রান্তির শুরু। আমরা যে জিনিসকে বেলুনের কেন্দ্র বলে মনে করি, তা বেলুনের অভ্যন্তরের কোথাও হতে পারে। পৃষ্ঠের নিচে বাতাসভর্তি স্থানে একটি বিন্দু হতে পারে। আমাদের মহাবিশ্বে বেলুনের বায়ুপূর্ণ অভ্যন্তরের কোনো প্রতিরূপ নেই। এ কারণে ‘মহাবিশ্বের কেন্দ্র কোথায়’, এমন জিজ্ঞাসা ‘বেলুনের পৃষ্ঠের কেন্দ্র কোথায়’ প্রশ্নের মতোই। আপনি বেলুনের পৃষ্ঠ বরাবর যেকোনো দিকে ভ্রমণ করতে পারেন, যতক্ষণ আপনি চান। আপনি কখনো এমন কোনো স্থানে পৌঁছাতে পারবেন না যাকে আপনি এর কেন্দ্র বলতে পারেন, কারণ আপনি আসলে কখনোই বেলুনের পৃষ্ঠ ছেড়ে যাবেন না। একইভাবে আপনি মহাবিশ্বের যেকোনো দিকে ভ্রমণ করতে পারেন। কখনো মহাবিশ্বের কেন্দ্র খুঁজে পাবেন না।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ