হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার পরীবিলে মাছধরা উৎসবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুনারুঘাটের চন্ডিছড়া চা বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত বিশাল আকৃতির লেকটি স্থানীয়ভাবে পরীবিল নামে পরিচিত।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদিন এই পরীবিলে চা বাগানের লোকজন এই মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠেন। তারা ছোট বড় মাছ শিকার করে আনন্দে বাড়ি ফিরেছেন।
এনটিসি কোম্পানির মালিকানাধীন এ বিলটিতে সাদা পদ্ম ও লাল শাপলা পদ্ম ফুটে। প্রতি বছর বিপুল পর্যটক পরীবিল দেখতে আসেন। গত কয়েক বছর ধরেই এ বিলে সাদা পদ্ম ও লাল পদ্ম কমতে থাকে। কারণ পৌষ মাঘ আসলেই এ বিলে মাছ ধরার কারণে পদ্ম উঠিয়ে ফেলা হয়। এবারও সাদা পদ্ম উঠিয়ে এ বিলে মাছ ধরার উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
বাগানের শত শত লোক বিলটিতে বিভিন্ন জাল নিয়ে মাছ শিকারে নামেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা মাছ শিকার করেন। অনেকেই ছোট ছোট মাছের পাশাপাশি বড় মাছও পেয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে রুই, কাতল, মৃগেল, চিতল, শিং, মাগুর, কৈসহ নানা প্রজাতির মাছ।
সাবেক ইউপি মেম্বার জুয়েল মিয়া জানান, তিনি রুই, কাতল, কার্প, শিং এর পাশাপাশি বড় একটি চিতল মাছ পেয়েছেন। তার মতো চা বাগানের অনেকেই মাছ শিকার করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, “মাছ শিকারকালে বিলটির পরিবেশ ঠিক রাখা বাঞ্ছনীয়। শাপলা উৎপাদনের উৎস যাতে বিনষ্ট না হয় এটাও দেখা দরকার। কারণ, বিলটি এখানের পরিবেশে দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।”
ঢাকা/মামুন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পর ব পর ব ল
এছাড়াও পড়ুন:
কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’
‘উৎসব’ দেখে মন ভরে গেছে। বাংলাদেশের সিনেমা দেখতে যাওয়া, বয়স হওয়ার পর, একটা বিড়ম্বনা। একটা কারণ, সিনেমা হলের বের হওয়ার দরজার মুখে ক্যামেরা দাঁড়িয়ে থাকে। বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করে, ‘কেমন দেখলেন।’ কী বলবেন? সিনেমা যাঁরা বানান, তাঁরা আমাদের ভাইবেরাদার, বোন-দুলাভাই, মামা-চাচা, ভাইপো-ভাইঝি, না হলে আমার আরেকটা নাটকের প্রডুসার, একটা চ্যানেলের মালিক, সত্য কথা বলে এই বয়সে বন্ধুহারা, ভাইহারা হতে কে চায়।
বেশির ভাগ সিনেমা শেষ পর্যন্ত দেখলে একটা উপকার হয়, নিজের ধৈর্যশক্তি বাড়ে, সহ্যক্ষমতা পোক্ত হয়! সম্পূর্ণ ভালো লেগেছে, এমন ছবি আমার তালিকায় খুব কম। একটা দুটোর নাম করি, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘মুক্তির গান’। ‘নিরন্তর’ ভালো লেগেছিল, ‘শঙ্খনাদ’ পছন্দ করেছিলাম, ‘টেলিভিশন’ কিংবা ‘স্বপ্নজাল’ দেখেও প্রশংসা করেছিলাম...এই রকম হাতে গোনা কয়েকটা ছবি। হাতে গোনা ব্যাপারটা হলো, আপনি হাতের আঙুল দিয়ে গুনতে পারবেন, অঙ্গুলিমেয়, আঙুলের দাগ ধরে ধরে গুনবেন, বিশটার বেশি হবে না। আমার মনে হয়, দুই হাতের দশটা আঙুলের চেয়ে বেশি বাংলাদেশি সিনেমার নাম আমি বলতে পারব না, যা আমার বেশ ভালো লেগেছে।
তানিম নূর পরিচালিত এবারের ঈদের ছবি ‘উৎসব’ দেখলাম ১৩ জুন ২০২৫। অপরাহ্ণ শো। দুদিন আগেই টিকিট কাটা ছিল। আমরা আটজনের একটা দল, বন্ধুবান্ধব, ছেলেমেয়েসমেত স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়ে হাজির। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। এত বড় লাইন, সবার হাতে টিকিট, সবাই একটা সিনেমা দেখতে দাঁড়িয়ে আছেন হাসিমুখে, কী সুন্দর একটা দৃশ্য।
উৎসব সিনেমার পোস্টার