এমন ভালোবাসা কোথাও পাইনি: রুনা খান
Published: 19th, January 2025 GMT
রুনা খান। মডেল ও অভিনেত্রী। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আজ বিকেলে রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে থাকছে তাঁর অভিনীত ‘নীলপদ্ম’ সিনেমার প্রদর্শনী। এই সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে।
গত বুধবার ‘নীলপদ্ম’ সিনেমার প্রথম প্রদর্শনী হয়। দর্শকের প্রতিক্রিয়া কেমন দেখলেন?
যারা সিনেমাটি দেখেছেন, তারা প্রত্যেকেই বেশ ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। যদিও শুরুতে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা স্নায়ুচাপে ছিলাম। এরপর যখন দর্শকদের সঙ্গে সিনেমাটি দেখলাম, তখন দেখলাম আমার অভিনীত ‘নীলা’ চরিত্রটির সঙ্গে দর্শকরা একাত্ম হচ্ছেন। এটি একজন অভিনয়শিল্পীর জন্য অনেক বেশি আনন্দের।
নীলপদ্ম সিনেমার দৃশ্যধারণের সময়কার কথা.
..
এ সিনেমাকে অন্য আট-দশটি সিনেমার সঙ্গে মেলালে হবে না। ‘নীলপদ্ম’ গল্পের সিনেমা। নির্মাতা এ সিনেমার মাধ্যমে যৌনকর্মীদের কথা বলেছেন। ফলে এ কাজটি নিয়ে দীর্ঘসময় যৌনকর্মীদের জীবন, সামাজিক অবস্থান নিয়ে গবেষণা করতে হয়েছে। কাজের সুবাদে অনেকটা সময় দৌলতদিয়া পল্লিতে যেতে হয়েছে। শুটিংয়ের অবসরে ওখানকার মেয়েদের সঙ্গে গল্প করেছি। তারা আমাকে যে ভালোবাসা দিয়েছেন, এমন ভালোবাসা আমি কোথাও পাইনি। ওদের আচার-আচরণ আমাকে আবারও বুঝিয়ে দিয়েছে সবকিছুর ওপরে সবাই মানুষ।
আমাদের দেশে বর্তমানে জীবনধর্মী গল্প কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে বলে মনে হয়?
সত্যি বলতে কী, আমাদের এখানে জীবনঘনিষ্ঠ গল্পের গুরুত্ব কম। কারণ, এসব কাজে ঠিকমতো বাজেট পাওয়া যায় না। তারপরও অনেক নির্মাতা এমন গল্প নিয়ে চিন্তা করছেন। এই যেমন ‘নীলপদ্ম’ সিনেমার কথাই বলি। এ সিনেমার গল্পটি যখন নির্মাতা তৌফিক এলাহী তৈরি করছেন; তিনি কিন্তু এই গল্পের জন্য ঠিকঠাক বাজেট পাননি। যদি তিনি ভালো বাজেট পেতেন, তাহলে সিনেমাটি আরও ভালো হতো বলে আমার বিশ্বাস। নির্মাতার এই চেষ্টাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে সাধুবাদ জানাই। তিনি অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কাজটি করেছেন।
নিজের অভিনীত চরিত্রগুলো নিয়ে কতটা সন্তুষ্ট?
কখনোই আমার কাজ আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারে না। শুটিং সেটে শুধু মনে হয় এটি হচ্ছে না, ওটি হচ্ছে না। সব সময় একটি অপূর্ণতা মনে হয়। যেমনটি হয়েছে ‘নীলপদ্ম’ সিনেমার ক্ষেত্রে। এ সিনেমা দিয়ে নির্মাতা সমাজের এক অংশের কথা বলতে চেয়েছেন। সেখানে আছে বিশেষ কিছু বার্তা। তিনি সিনেমার মাধ্যমে যে শ্রেণির মানুষের বার্তা দিতে চেয়েছেন সেটি যদি দেশের মানুষের কাছে পৌঁছায় তাহলেই আমাদের সার্থকতা।
ক্যারিয়ারের এ সময়ে এসে নিজেকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
মূল্যায়ন কীভাবে করব! আমি নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সফল ও সুখী মানুষদের একজন মনে করি। এক জীবনে সব কিছুর স্বাদ পেয়েছি। সংসারে সুখ ও ভালোবাসা পেয়েছি, ব্যক্তিজীবনে সাফল্য পেয়েছি, আর কী লাগে!
সহকর্মীরা যখন অভিনয়ের প্রশংসা করেন, তখন কী মনে হয়?
আমার আড়ালে কেউ যখন আমার প্রশংসা করেছে বলে জানতে পারি। তখন সেই প্রশংসা আমার কাজে অনুপ্রেরণা জোগায়। যখন কেউ সামনাসামনি আমার কাজের জন্য ভালো কিছু বলেন, তখন লজ্জায় পড়ে যাই।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফি ঘিরে উত্তেজনা এখন চূড়ান্তে। ২-১ ব্যবধানে সিরিজে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও পঞ্চম ও শেষ টেস্টটি একটি পরিণতির লড়াই হিসেবে সমাসন্ন। তবে ঠিক এই সময়েই বড় দুঃসংবাদ এসে আঘাত হেনেছে ইংলিশ ড্রেসিংরুমে। ইনজুরিতে পড়ে সিরিজ নির্ধারণী ওভাল টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন অধিনায়ক বেন স্টোকস।
বুধবার (৩০ জুলাই) ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, ওভালে মাঠে নামা হচ্ছে না স্টোকসের। ম্যানচেস্টারে চতুর্থ টেস্টে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি। ব্যাটে-বলে সমান পারদর্শী স্টোকস ছিলেন দলের ভারসাম্য ধরে রাখার অন্যতম স্তম্ভ। তার অনুপস্থিতি তাই শুধু একজন খেলোয়াড়কে হারানো নয়, বরং একটি জয়ের প্রত্যয়ের বড় চ্যাপ্টারও হারানো।
এই ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব সামলাবেন ওলি পোপ। যিনি প্রথমবারের মতো সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় দলের।
আরো পড়ুন:
শেষ ম্যাচের আগে ভারতের শিবিরে ধাক্কা, বিশ্রামে বুমরাহ
ওভাল টেস্টের ইংল্যান্ড দল ঘোষণা, ওভারটনের প্রত্যাবর্তন
স্টোকস ছাড়াও ওভাল টেস্টে দেখা যাবে না জোফরা আর্চার, ব্রাইডন কার্স ও লিয়াম ডসনকে। চোট ও ফিটনেস ইস্যুর কারণে তারা বাদ পড়েছেন স্কোয়াড থেকে।
অবশ্য একাদশে ফিরেছেন দুই পরিচিত মুখ জশ টাঙ ও জেমি ওভারটন। বিশেষ নজর কেড়েছেন গাস অ্যাটকিনসন। যিনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মে মাসে খেলার পর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে ছিলেন মাঠের বাইরে। সারে কাউন্টির হয়ে ফের মাঠে ফিরে জায়গা পেয়েছেন জাতীয় দলে। ইংল্যান্ডের পেস বিভাগে তার উপস্থিতি বাড়াবে গতি ও ধার।
চলতি সিরিজে ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন বেন স্টোকস। চার ম্যাচে তার ঝুলিতে ১৭ উইকেট। ম্যানচেস্টার টেস্টে ভারতের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার ও ব্যাটে সেঞ্চুরি করে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়েছিলেন। লর্ডসেও দুই ইনিংস মিলিয়ে রান করেছেন ৭৭, নিয়েছেন আরও পাঁচ উইকেট।
তাই ইংলিশ শিবির শুধু একজন ব্যাটার বা একজন বোলার হারায়নি, তারা হারিয়েছে একজন পূর্ণাঙ্গ ম্যাচ উইনারকে। স্টোকসের মতো একজন অলরাউন্ডার যিনি প্রয়োজনের সময় ছায়ার মতো আক্রমণে নেতৃত্ব দেন এবং ব্যাট হাতে গড়েন ম্যাচের ভিত, তার অভাব যে দলকে নাড়া দেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ:
জ্যাক ক্রাউলি, বেন ডাকেট, ওলি পোপ (অধিনায়ক), জো রুট, হ্যারি ব্রুক, জ্যাকব বেথেল, জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), ক্রিস ওকস, গাস অ্যাটকিনসন, জেমি ওভারটন ও জশ টাঙ।
ঢাকা/আমিনুল