গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, “গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সংরক্ষণ ও সমৃদ্ধ করতে একটি কার্যকর প্রেস কাউন্সিল গঠন করা হবে। বর্তমান প্রেস কাউন্সিল পত্রিকা বন্ধের মতো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যা পরিবর্তন করে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের সুরক্ষা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

কামাল আহমেদ বলেন, “শক্তিশালী ও কার্যকর প্রেস কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে সাংবাদিক, পাঠক, শ্রোতা ও সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষা করা হবে। কেউ যদি সংবাদ প্রকাশের কারণে হয়রানির শিকার হন, তাহলে প্রেস কাউন্সিল থেকে প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।”

আরো পড়ুন:

হাসিনা সরকার গণমাধ্যমকে ভয়ানকভাবে ব্যবহার করেছে: প্রেস সচিব

স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য আর্থিক নিরাপত্তা দরকার: কামাল আহমেদ

তিনি আরো বলেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রেস কাউন্সিল বিভিন্ন নামে পরিচিত। সাংবাদিকদের মতামতের ভিত্তিতে এটির নামকরণ এবং কাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। পাশাপাশি অনেকেই স্থায়ী মিডিয়া কমিশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা নিয়ে কমিশন চিন্তাভাবনা করছে।”

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় একটি কার্যকর প্রেস কাউন্সিল গঠন সময়ের দাবি উল্লেখ করে কামাল আহমেদ বলেন, “এটি সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা এবং সাধারণ মানুষের অধিকার সুরক্ষায় ভূমিকা রাখবে।”

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, শামসুল হক জাহিদ, বেগম কামরুন্নেসা হাসান ও মোস্তফা সবুজসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ম ল আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ