‘শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন বাতিলের আবেদন করবে পুলিশ’
Published: 21st, January 2025 GMT
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন নজরুল ইসলাম বলেছেন, কারাগার থেকে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা নানারকম অপকর্মে জড়াচ্ছে। আমরা তাদের জামিন বাতিলের জন্য আবেদন করব। কয়েকদিন আগে দেখলাম, বেনজীরের ক্যাশিয়ার খ্যাত জসিম জামিন পেয়েছেন। পত্রিকায় নিয়মিত খবর হচ্ছে সুব্রত, পিচ্চি হেলাল ও ইমনসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নিয়ে। আধিপত্য নিয়ে তারা বিরোধে জড়াচ্ছেন। রেকর্ড হচ্ছে, মামলা হচ্ছে। আমরা পেলেই ধরে ফেলব। কাউকে ছাড় দেব না।
আজ মঙ্গলবার ডিএমপি সদরদপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অপরাধমূলক কার্যক্রম ও তাদের ওপর পুলিশের কোনো নজরদারি আছে কি না? জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার এসএম সাজ্জাত আলী বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে ডিএমপি। তাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় কারাগারে থেকেও তাদের মধ্যে কোনো সংশোধন নেই, এটা খুবই দুঃখজনক। বয়স হলেও কারাগার থেকে বের হয়ে সেই আগের মতো চাঁদাবাজি, দলাদলি শুরু করে দিয়েছে।
এদিকে বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের জন্য আলাদা পোশাক থাকলেও আগামীতে সেটি থাকছে না বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, বাহিনী হিসেবে পুলিশের পোশাক বদলালেও তা অন্য ইউনিটগুলোর জন্য বদলাচ্ছে না। যা আছে তা-ও থাকছে না। অর্থাৎ বদলে যাওয়া নতুন পোশাকই পরবেন পুরো পুলিশ বাহিনীর সব ইউনিটের সদস্যরা।
এ ছাড়া ‘যখনই ঘটনা তখনই তথ্য’ এই চিন্তাকে সামনে রেখে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখায় একটি হটলাইন চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান শেখ মো.
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, সহ-সভাপতি উমর ফারুক আল হাদী, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খানসহ কমিটির অন্য সদস্যরা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।