চলতি বছরের জুনে ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের স্পেকট্রাম নিলাম আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এই উদ্যোগ দেশের টেলিযোগাযোগ খাতকে উন্নত করতে এবং ৫জি প্রযুক্তির দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড একটি নিম্ন-ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম, যা দীর্ঘ দূরত্বে সংকেত প্রেরণে বিশেষভাবে কার্যকর। এটি প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে সহায়তা করবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ব্যান্ডের ব্যবহারে সেবা প্রদানকারীদের খরচ কম হবে, যা সাশ্রয়ী টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, নিলামের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। এই নীতিমালায় অপারেটরদের প্রয়োজন, বাজারের চাহিদা এবং প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ উন্নয়ন বিবেচনায় রাখা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘স্পেকট্রাম নিলামের মাধ্যমে টেলিকম খাতের উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে। ৫জি নেটওয়ার্ক বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ট আরস ব ট আরস

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩ 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মঞ্জু টেক্সটাইলে এন্ড ডাইং কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে কারখানার দুই নিরাপত্তাকর্মীসহ তিন জন দগ্ধ হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকায় কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুল হান্নান, গার্ড কবির হোসেন ও সিনিয়র অফিসার সাইফুল ইসলাম।

কারখানার সুপারভাইজার মিজানুর জানান, নাইট ডিউটি শেষে সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার ঠিক পরপরই তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস রুমে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীসহ তিনজন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতায় আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ৫ ছাত্রনেতা

তিনি জানান, কারখানায় দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত গ্যাসের চাবি বন্ধ করে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধ তিনজনকে দ্রুত রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। আগুনে কারখানার কিছু কাপড় ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ইউনিট সেখানে যায়। তবে তার আগেই কারখানার লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। বিস্ফোরণ ও আগুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি তিনজন দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/অনিক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ