নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ২ বাড়ীতে ডাকাতি  সংঘঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার  রাতে উপজেলার   লালুর কান্দি ও   কলাগাছিয়ায়   এই দুর্ধর্ষ  ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায়  আহত হয় ২ জন। 


জানা গেছে,  রাত আড়াইটায় ১০/১৫ জনের মুখোশ পরিহিত ডাকাতদল হাইজাদী  ইউনিয়নের রাইনাদী কলাগাছিয়া গ্রামে  মানিকের বাড়ীতে হানা দিয়ে মানিক ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে নগদ ১ লাখ টাকা ও ৪ ভরি স্বণার্লংকারসহ অন্য মালামাল  লুটে নেয়। 


অন্য   দিকে রাত  দেড় টায় খাগকান্দা ইউনিয়নের  লালুরকান্দী গ্রামের জয়নালের  ঘরের টিনের বেড়া  ভেঙ্গে ১২/১৩   জন মুখোশ পরিহিত ডাকাত  অস্ত্রের  ভয় দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে নগদ ১০হাজার টাকা, ১টি মোবাইল  ফোন,গৃহিনীর গলায় থাকা রূপার চেইন ও বিদেশী টর্চলাইট ছিনিয়ে নেয়। পরে ডাকাতদল  জায়নাল  আবেদীনের ছেলে মিছির আলীর ঘরের  দরজা  ভেঙ্গে ভেতরে  প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্রের  ভয় দেখিয়ে হাতপা বেঁধে নগদ ৮ হাজার টাকা, ১ আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল, ৮ আনা ওজনের রূপার জিনিস  লুটে নেয়। পরে এলাকাবাসী খবর পেয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষনা  দিলে  লোকজন জড়ো হয়।  এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
আড়াইহাজার থানার ওসি  এনায়েত হোসেন  জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে। ডাকাত গ্রেফতার ও লুন্ঠিত মালালাম উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ