ব্যাটিং ছায়া থেকে বেরিয়ে বোলিং আনন্দে বার্ল
Published: 23rd, January 2025 GMT
আগের ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় পা মচকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন রায়ান বার্ল। চোখে মুখে তার অস্বস্তি ফুটে উঠেছিল প্রবলভাবে। তবে চোট গুরুতর হয়নি। দুইদিনের বিরতির পর আজ মাঠে ফেরেন।
দুর্বার রাজশাহীর হয়ে বিপিএল খেলতে আসা জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটারের সময়টা খারাপ কাটছে না। নিজের মূল কাজ ব্যাটিংয়ে রাখছিলেন অবদান। চল্লিশোর্ধ ইনিংস আছে তিনটি। ফিফটি আছে একটি। বল হাতে অলরাউন্ড নৈপূণ্যের স্বাক্ষর রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। শেষ তিন ম্যাচে নিয়মিত বোলিং করলেও উইকেট পাচ্ছিলেন না। সব মিলিয়ে আগের নয় ম্যাচে মাত্র তিন উইকেট পেয়েছিলেন লেগ স্পিনার।
তবে নিজের বোলিং কারিশমা আজ দেখালেন বল হাতে। ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে স্পিন ঘূর্ণিতে নীল করলেন রংপুর রাইডার্সকে। বিপিএলে যারা আট ম্যাচ হারেনি তারাই বার্লের ঘূর্ণিতে পরাস্ত। মাহেদী হাসান, নুরুল হাসান সোহান, আকিফ জাভেদ ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের উইকেট নিয়ে রংপুরের ব্যাটিং অর্ডারের লেজটা কাটেন লেগ স্পিনার।
আরো পড়ুন:
২ ওভারে ৩৯, বাকি ১৮ ওভারে ১১৩!
ফারুকের হাতে রাজশাহীর ‘৬৮ লাখের’ চেক, বোনাস ১৪ লাখ
নিজের ব্যাটিং ছায়া থেকে বেরিয়ে বল হাতে কারিশমা দেখিয়ে ম্যাচ জেতানোয় যারপরনাই খুশি বার্ল। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে বার্ল বলেছেন, ‘‘শূন্যরানে আউট হওয়া অবশ্যই হতাশাজনক। তবে অলরাউন্ডার হওয়ার সৌন্দর্য্য এটাই। খেলাটির অন্য দিক দিয়েও অবদান রাখা যায়। সেটি করতে পারায় খুব খুশি।”
টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ার সেরা বোলিং নিয়ে বার্ল যোগ করেন, ‘‘আমি আসলে গতির বৈচিত্র কাজে লাগানোর চেষ্টা করছিলাম। খেয়াল করলে দেখবেন, ওরা লেগ স্পিন ডেলিভারিগুলো বড় শটের তেমন চেষ্টা করেনি। জোরের ওপর করা বলগুলো মারার চেষ্টা করেছে, সেখান থেকেই উইকেট পেয়েছি।”
নিজেদের চতুর্থ জয় রাজশাহী পেয়েছে টেবিল টপার রংপুরের বিপক্ষে। সেই জয়ে বার্ল ম্যাচসেরা হওয়াতে আনন্দটা দ্বিগুণ তার, ‘‘খুবই আনন্দময় অনুভূতি। টুর্নামেন্টের এক নম্বর দলের বিপক্ষে জেতায় তৃপ্তি একটু বেশি। তারা দারুণ ছন্দে ছিল, ক্রিকেটাররা ভালো ফর্মে ছিল। আমাদের জন্য বাঁচা-মরার লড়াইয়ের মতো ছিল। এখন প্লে’অফ খেলার চেষ্টা করব।”
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
৩০ ক্রাসার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
সিলেটে অবৈধ ক্রাসার মেশিনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। শনিবার (১৪ জুন) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সিলেট সফরকালে এ মেশিনের জন্য বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেন।
ক্রাসার মেশিন হলো এক ধরনের যন্ত্র যা পাথর, আকরিক বা অন্যান্য উপকরণকে ছোট ছোট টুকরায় ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবহৃত হয়।
সোমবার (১৬ জুন) সিলেট শহরতলীর ধোপাগুল এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে ৩০টি ক্রাসার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এ সময় ২৬টি বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ করা হয়।
আরো পড়ুন:
নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
গ্রাহকদের জরুরি বার্তা দিল ডেসকো
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ধোপাগোলসহ আশপাশের এলাকায় কোনো ধরনের পরিবেশগত ছাড়পত্র (ইআইএ) ও বৈধ অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে বেশকিছু ক্রাসার মিল চলছিল। এতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল স্থানীয় পরিবেশ। পরিবেশ রক্ষার অংশ হিসাবে অভিযান চালিয়ে ৩০টি ক্রাসার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ২৬টি মিটার জব্দ করা হয়েছে।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশূর রুবাইয়াত জানান, ধোপাগোলে বিদ্যুৎ বিভাগসহ সমন্বিত অভিযান হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের একাধিক টিম।
এদিকে, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার (১৫ জুন) রাতে গোয়াইনঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়েদ উল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ জানান, সরকারি কাজে বাধা দেয়া, উপদেষ্টাদের সড়ক অবরোধ ও জনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে একটি মামলা রুজু হয়েছে। মামলায় গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে প্রধান করে ১৫৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সিলেটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলং পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বালু–পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। শনিবার (১৪ জুন) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গোয়াইনঘাটের বল্লাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও শ্রমিক দলের স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।
শনিবার সকালে জাফলং এলাকা পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সেখান থেকে ফেরার পথে বল্লাঘাট এলাকায় তাঁদের গাড়িবহর আটকে বালু–পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা বন্ধ থাকা জাফলংসহ সিলেটের পাথর কোয়ারি চালুর দাবিতে স্লোগান দেন।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুই উপদেষ্টা জাফলং পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা জানান, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে জাফলংসহ সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর ইজারা দেয়া হবে না। এরপরই কিছু ব্যক্তি বিক্ষোভ শুরু করেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর উপদেষ্টারা গাড়িতে ওঠেন। ফেরার পথে বল্লাঘাট এলাকায় স্থানীয় বালু-পাথর ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ কয়েকশত মানুষ পাথর কোয়ারির ইজারা দেয়ার দাবিতে তাদের গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভ করেন। পাঁচ থেকে সাত মিনিট দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে রাখেন তারা। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিলে উপদেষ্টারা সিলেটে চলে আসেন।
ঢাকা/নূর/বকুল