ফতুল্লায় পলাশ ও আবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্তঃজিলা শ্রমিকদের মানববন্ধন
Published: 24th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ আন্তঃর্জিলা ট্রাক কর্ভারভ্যান মিনি ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি নং বি- ১৬৬৫) পাগলা শাখার বৈষম্যমূলক নির্বাচন ও অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ আন্তঃজিলা ট্রাক চালক কভার্ডভ্যান মিনি ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রমিকবৃন্দ।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় পাগলা বাজার কাজী মার্কেট সংলগ্ন মো.
মোহাম্মদ জসিম শিকদার, মোহাম্মদ হাফিজ শেখ, মোহাম্মদ বাবু আহমেদ, মো. সোহেল রানা, মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া, মোহাম্মদ আলী বাবু, মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।
এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন বিগত আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বাংলাদেশ আন্তঃজিলা ট্রাক চালক কভার্ডভ্যান মিনি ট্রাক ইউনিয়ন পাগলা শাখা সন্ত্রাসী পলাশের নেতৃত্বে তার বাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতো। শ্রমিক নেতা পলাশ একজন রক্তচোষা নেতা, যে কিনা শ্রমিকের রক্ত চুষে শ্রমিক নেতা হয়েছেন।
বিগত আন্তঃজিলা পাগলা শাখার নির্বাচনে আমরা ২০ থেকে ২২ জনের মত প্রার্থী নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র কয় করি, এরপরেই পলাশ এবং তার বাহিনীর আবুলের নেতৃত্বে নির্বাচনকে বানচাল করতে নানান তালবাহানা করেন।
নির্বাচনের নামে বৈষম্য সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদের একটি নিজস্ব টার্মিনাল ছিল, সেটি ছিল তালতলায়। সেখানে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও শ্রমিকের রক্তচোষা নেতা সন্ত্রাসী পলাশ এবং তার বাহিনী আবুল, হানজালার নেতৃত্বে সেই নির্বাচন তাদের পথে নেওয়ার জন্য আলিগঞ্জ খেলার মাঠ কে ভোটকেন্দ্রে বানায়।
আপনারা নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকরা জানেন আলীগঞ্জ মাঠের সেই নির্বাচনের কথা, ভোট সন্ধ্যায় শেষ হলেও ভোট গণনা শেষ হয় সেই গভীর রাতে সেখানে আওয়ামী লীগের দোসর শ্রমিকের রক্ত চোষা নেতা কাউসার আহমেদ পলাশের নেতৃত্বে আবুল হোসেন ও তার সহযোগী হানজালা আমাদের অনেক প্রার্থীকে ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়নি।
আমাদের উপরে আলিগঞ্জ ভোটকেন্দ্রে কয়েক দফা হামলা করা হয়েছিল, সেই সময় আমরা এই নির্বাচন প্রত্যাহার করেছিলাম, আপনারা সাংবাদিকরা বলতে পারেন তখন কেন আপনারা এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে কথা বলেন নি, আপনারা জানেন বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেনি শ্রমিক নেতা পলাশ আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে একটি শ্রমিক সংগঠনকে তার হাতে জিম্মি করে রেখেছিল।
তারি ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট এর পর দেশ যখন স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে আমরাও সেই নির্বাচন প্রত্যাহার এবং আন্তঃজিলা পাগলা শাখার বর্তমান যে কমিটি হয়েছে আমরা তা অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং আমরা অচিরেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তঃজিলা পাগলা শাখার নতুন নেতৃত্ব চাই।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আপন র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় অবৈধ মাটি ব্যবসা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক মাইনুদ্দিন রুবেলের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। হামলার চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বক্তারা। জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ঢেউ’ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য শাহাজাহান সাজু, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা হারুন অর রশিদ ও শাহীন মৃধা, প্রথম আলোর বন্ধুসভার জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায় ও সাধারণ সম্পাদক শাহাজান মিয়া এবং ঢেউয়ের সদস্য শাহাদাত হোসেন।
বক্তারা বলেন, যাঁরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত, তাঁদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই। বাংলাদেশ সংবিধান প্রত্যেক নাগরিকের মতপ্রকাশের অধিকার দিয়েছে। একজন সাংবাদিক হিসেবে মাইনুদ্দিন রুবেল সেই অধিকার প্রয়োগ করেছেন। সাংবাদিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে সত্য প্রকাশ থেকে বিরত রাখা যাবে না। হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
মাইনুদ্দিন রুবেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি। তাঁর বাড়ি বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটি দাউদপুর গ্রামে। তিনি ২০ বছর ধরে জেলা শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে বসবাস করছেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে বিজয়নগরের মির্জাপুর এলাকায় উপজেলা পরিষদের সামনে তাঁর ওপর হামলা হয়। এতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কাইয়ুম মিয়া এবং বহিষ্কৃত যুবদল নেতা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান ওরফে লিটন মুন্সীসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন রুবেল।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মোখলেছুর ও কাইয়ুম দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে মাটি ব্যবসা করছেন। পুকুর ও কৃষিজমির মাটি কেটে তা ট্রাক্টরে করে অন্যত্র বিক্রি করছেন তাঁরা। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
এ বিষয়ে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।