যানজট-দূষণ রোধে বিদ্যমান গণপরিবহন ব্যবস্থা ঢে‌লে সাজা‌তে হ‌বে ব‌লে মন্তব‌্য ক‌রে‌ছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি ভবনে বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন পার্টনারশিপ কার্যকর করার লক্ষ্যে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

উপ‌দেষ্টা বলেন, “আমাদের গণপরিবহন ব্যবস্থাকে সচল রেখে দুর্ঘটনা কমানো, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আমাদের পুরো জিনিসটাকে (গণপরিবহন ব্যবস্থাপনা) ঢেলে সাজাতে হবে।”

আরো পড়ুন:

বরিশালে অটোরিকশার চাপায় শিশু নিহত, সড়ক অবরোধ

রোড ডিভাইডারে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, শ্যালক ও দুলাভাই নিহত

পরিবেশ ও জলবায়ু রক্ষায় ইলেকট্রিক গাড়ি (ইভি) নামানোর কোনো চিন্তা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের সময় অল্প। কিন্তু জনগণের আকাঙ্ক্ষার চাপ আমাদের ওপর অনেক বেশি। অবশ্য, আমরা জনপ্রত্যাশার এই চাপ মেনে নেই। কারণ, জনগণের প্রত্যাশা যত সুতীক্ষ্ম হবে আমাদের কাজও তত বেশি ত্বরান্বিত হবে। তবে মুশকিল হচ্ছে একটি সীমাবদ্ধ সময়ের মধ্যেই আমাদের কাজগুলো করতে হচ্ছে। ইভির বিষয়টিও দীর্ঘমেয়াদি।”

পরিবেশ মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “চুনতি অভয়ারণ্যের বড়-বড় পাহাড় কেটে বড় রেললাইন হয়েছে। আর এটাকে উন্নয়ন হিসেবে মেনে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই পাহাড় কেটে যদি উন্নয়ন হয় তাহলে পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বে আলাদা কোনো মন্ত্রণালয় থেকে লাভ নেই। পরিবেশ মন্ত্রণালয়কে যদি তার স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে না দেওয়া হয় এবং উন্নয়নের চাপ ও উন্নয়নের সিদ্ধান্ত যদি পরিবেশ অধিদপ্তরের ওপরে চাপিয়ে দেওয়া হয় তাহলে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে না।”

“আমাদের কাজটাই হচ্ছে রেগুলেট (নিয়ন্ত্রণ) করা। কিন্তু আমরা যদি সেটি স্বাধীনভাবে করতে না পারি, তাহলে দেখা যাচ্ছে উন্নয়ন এবং পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য আনা যাবে না। আর উন্নয়নকে যদি প্রাধান্য দিয়ে পরিবেশকে সাব-সাবজেক্ট রাখা হয়, তাহলে যেরকম পরিবেশ আমরা চাই সেটি পাব না,” ব‌লেন প‌রি‌বেশ উপ‌দেষ্টা।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন য নজট পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত বন্দর গড়তে চাই : সাখাওয়াত

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, আমরা রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণে, সমাজ থেকে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস দূর করার জন্য।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৪টায় সোনাকান্দা হেভেন কমিউনিটি সেন্টারে বন্দর ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি একটি উদার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দর্শন ছিল—জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্র বা দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। যারা অপকর্মে লিপ্ত, তাদের সরিয়ে দিতে এবং জনগণের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিতে আমরা রাজনীতি করি। 

জনগণের মনে কষ্ট পায় এমন কিছু করা যাবে না। আমাদেরকে সব সময় জনগণের সুখে-দুখে পাশে থাকতে হবে। এটা আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্দেশ। 

তিনি আরও বলেন, বিএনপিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের কোন স্থান নেই। কেউ যদি বিএনপির নাম বিক্রি করে এসকল অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে তাদেরকে বিএনপি থেকে বিতাড়িত করা হবে। 

আমরা সন্ত্রাস,  চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত একটি সুন্দর বন্দর গড়তে চাই। সারাদেশে ছোট বড় অনেক ব্রীজ হয়েছে বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি সেতু সেলিনা হায়াৎ আইভী দীর্ঘ ১৫ বছরেও করে দিতে পারে নাই। ইনশাল্লাহ আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সেই সেতু নির্মাণ করা হবে। 

নবায়ন ও সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পর্কে সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, বিএনপির সদস্য হতে পারবেন তারা, যারা আদর্শবান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষক, শ্রমিক ও ছাত্র। কিন্তু চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী কিংবা যারা আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের সদস্যপদ নবায়ন করা হবে না।

বন্দর ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে  ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন প্রধানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড.আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেনশাহ আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা।

এছাড়াও অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমির হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহম্মদ, ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসারুল হক রাহাত, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোশারফ হোসেন মশুসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসির প্রতিটি কাজে জবাবদিহি থাকতে হবে
  • জুলাই সনদে আমাদের যে সম্মতি সেটি আইনের ঊর্ধ্বে: সালাহউদ্দিন
  • সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত বন্দর গড়তে চাই : সাখাওয়াত
  • ৯ ঘণ্টা ধরে শাহবাগ অবরোধ, জনভোগান্তি চরমে
  • জুলাই আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়াবেন না: টুকু
  • সবাই অপেক্ষা করছে একটা নির্বাচনের জন্য
  • সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে দেশে ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে পারে: তারেক রহমান
  • সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান
  • ট্রাম্পের প্রতি মার্কিন জনগণের সমর্থন ৪০ শতাংশে ঠেকেছে
  • জাতিসংঘে সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান বৈঠক, ফিলিস্তিন ইস্যুতে উদ্বেগ