পারিশ্রমিক বুঝে না পাওয়ায় দুর্বার রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষের আজকের (২৬ জানুয়ারি, ২০২৫) ম্যাচটি বয়কট করেন। তাই বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের অনুমতি নিয়ে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে রাজশাহী মাঠে নামে কেবল দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে। কিন্তু বিদেশিদের ছাড়া আগে ব্যাট করতে নেমে নিদারুণ ধুকল তারা। ৯ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ পেয়েছে মাত্র ১১৯ রানের। জিততে রংপুরকে করতে হবে ১২০ রান।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬৭ রানেই রাজশাহী হারিয়ে বসে ৭ উইকেট। সেখান থেকে তাদের সংগ্রহ ১১৯ পর্যন্ত যায় সানজামুল ইসলামের ব্যাটে। তিনি ২৯ বলে ৪টি চারে অপরাজিত ২৮ রানের ইনিংস খেলেন। তার সঙ্গে অবদান রাখেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান আকবর আলী। তিনি ২ চারে করেন ১৯ রান। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ১৩, এনামুল হক ১৩, সাব্বির হোসেন ১১ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ১০ রানের ইনিংস খেলে অবদান রাখেন।

বল হাতে রংপুরের সেরা ছিলেন খুশদীল শাহ। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। আকিফ জাভেদ ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ২টি ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

আরো পড়ুন:

বেতন সংকট, বিদেশি ছাড়া নজিরবিহীন ম্যাচ খেলছে রাজশাহী

সিলেটকে শক্তি দেখিয়ে প্লে’অফে বরিশাল

৯ ম্যাচ থেকে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিল টপার রংপুর। অন্যদিকে ১০ ম্যাচ থেকে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রাজশাহী। আজ জিতলে প্লে’অফের সম্ভাবনা আরও জাগবে তাদের। হেরে গেলে কমবে আরও।

প্রথম দেখায় দারুণ পারফরম্যান্স করে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রংপুরকে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছিল রাজশাহী। আজ দ্বিতীয় দেখায় মামুলি সংগ্রহ নিয়ে রংপুরকে আরও একটি পরাজয়ের স্বাদ দিতে পারে কিনা দেখার বিষয়।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন

তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের। 

দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত। 

আরো পড়ুন:

রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন

টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়

প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।

তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।

গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে। 

সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। 

ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে। 

২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ