‘ধর্ম উপদেষ্টার কর্মসূচির মিডিয়া কভারেজে নারী সাংবাদিক প্রবেশে বাধা’— সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোস্ট নি‌য়ে ব‌্যাখ‌্যা দি‌য়ে‌ছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত বিবৃতি দেওয়া হয়।  

ধর্ম উপদেষ্টার বরাতে বিবৃতিতে বর্ণনা করা হয়েছে, গত ২৯ জানুয়ারি চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটে বলে ছড়িয়ে পড়া পোস্টে বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল ‘কওমি উদ্যোক্তা’ নামের একটি সংগঠন। এতে ধর্ম উপদেষ্টা প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হয়ে অংশগ্রহণ করেন।

আয়োজক কর্তৃপক্ষ কিংবা অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো নারী সাংবাদিককে যদি অনুষ্ঠানে প্রবেশে বাধা দেয়, তার দায় ধর্ম উপদেষ্টার ওপর বর্তায় না। ‘কওমি উদ্যোক্তা’ সম্মেলনে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে, অবশ্যই নিন্দনীয়। তবে, এ ঘটনায় আমন্ত্রিত অতিথিকে দায়ী করা যুক্তিসঙ্গত ও গ্রহণযোগ্য নয়। এই পোস্ট নিছক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ধর্ম উপদেষ্টার কিংবা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যে কোনো কর্মসূচিতে সাংবাদিকরা সাদরে আমন্ত্রিত হয়ে থাকেন। এ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পর থেকে ধর্ম উপদেষ্টা গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনে সহযোগিতা করে আসছেন। কিছুসংখ্যক সাংবাদিক ইতোমধ্যে তার দীর্ঘ সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন। তিনি কিংবা তার দপ্তর থেকে কখনোই কোনো সাংবাদিকের ওপর বিধিনিষেধে আরোপ করা হয়নি। আগামীতেও ধর্ম উপদেষ্টা ও তার মন্ত্রণালয় সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার করবে।

কী ঘটেছিল 

বুধবার রাজধানীতে কওমি উদ্যোক্তাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে একজন নারী সাংবাদিককে সংবাদ সংগ্রহের কাজে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে বেশ আলোচনা।

আগারগাঁয়ে অবস্থিত চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘কওমি উদ্যোক্তা সম্মেলন ২০২৫’ নামে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম উপদেষ্টা ড.

আ ফ ম খালিদ হোসেন।

বেসরকারি সংবাদ সংস্থা ইউএনবিতে কর্মরত ওই সাংবাদিক এমি জান্নাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে একটি স্ট্যাটাস দিলে আলোচনা-সমালোচনার সূত্রপাত হয়।

তিনি জানান, বুধবার বিকেল তিনটায় চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান তিনি। কিন্তু সেখানকার নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে প্রবেশে বাধা দিয়ে জানায়, মেয়েদের প্রবেশ করতে দেওয়ায় নিষেধ রয়েছে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজক গোষ্ঠী ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ ‘কওমি উদ্যোক্তার’ পক্ষ থেকে এ ঘটনায় ‘দুঃখ প্রকাশ’ করে একটি সংবাদ বিবৃতি দেয়।

এতে বলা হয়, এ ধরনের কোনো ঘটনার দায় কোনোভাবেই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ধর্ম উপদেষ্টার নয়। এরূপ কোনো ঘটনার জন্য ধর্ম উপদেষ্টার ওপর দায় চাপানো অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক।

পরে দুপুরেই সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিবৃতির কথা উল্লেখ করে ‘বিতর্কের অবকাশ নেই’ বলে মন্তব্য করেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজকীয় ভোজে ট্রাম্প–মেলানিয়াকে কী কী খাওয়ালেন রাজা চার্লস

জমকালো সাজে সেজেছে যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হল। উপলক্ষটাও অনন্য, রাজকীয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সস্ত্রীক যুক্তরাজ্য সফর উপলক্ষে এখানে রাজকীয় নৈশ্যভোজ আয়োজন করেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা।

বুধবার রাতের রাজকীয় এ আয়োজনে কূটনীতি, খাবার, ঐতিহ্য, সংগীত আর আভিজাত্য একসুতোয় বাঁধা পড়েছিল। ট্রাম্প–মেলানিয়াসহ রাজার অতিথি হয়েছিলেন বিশ্বের ১৬০ জন গণমান্য ব্যক্তি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানে রাজা তৃতীয় চার্লসের আয়োজন করা রাজকীয় ভোজের টেবিল। যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হল, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ