ভক্তের ভালোবাসায় ফিরে এলেন সালমান
Published: 31st, January 2025 GMT
বাংলা সিনেমায় সালমান শাহ এক অবিস্মরনীয় নাম। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান তিনি। মৃত্যুর এর বছরও পরও তাঁর জনপ্রিয়তায় একটুও ভাটা পড়েনি। এ কারণে তাকে নিয়ে যখনই কোন অনুষ্ঠান ,আয়োজন, কিংবা তাঁর অভিনীত কোন সিনেমায় প্রদর্শনী হয়; দর্শক ভক্তদের ঢল নামে সেখানে। বেশ কয়েকমাস ধরে রাজধানীর বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সিনেমার প্রদর্শনী হয়ে আসছিল। দর্শকরা এখানে বিনে পয়সার সিনেমায় দেখছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নায়ক সালমান শাহর ‘স্নেহ’ সিনেমাটির প্রদর্শনীর আয়োজন করে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ কর্তৃপক্ষ। প্রদর্শনী দেখতে দর্শকের ছিল উপচে পড়া ভীড়। ভক্তদের ভালোবাসায় যেন বারবার ফিরে আসেন সালমান। গাজী মাজহারুল আনোয়ার পরিচালিত ওই সিনেমার প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের কর্মকর্তাদের পাপাপাশি ও সালমান শাহ ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনে বিশেষ অতিথি হয়েছে এসেছিলন গাজী মাজহারুল আনোয়ারে পুত্র গাজী সারফরাজ আনোয়ার উপল ও কন্যা সংগীতশিল্পী দিঠি আনোয়ার।
সারফরাজ আনোয়ার উপল বলেন ,‘ছবিটি দেখতে গিয়ে আমি আসলেই স্মৃতিকারত হয়েছিলাম। কত সৃতি আব্বুর সাথে , ইমন ভাইয়ের সাথে [ সালমান শাহ ]। বলে শেষ করা যাবেনা। স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষার পর এক মাস ছুটি ছিলো। প্রায় প্রতিদিন এ আব্বুর সাথে ‘স্নেহ’ ছবির শুটিং দেখতে গিয়েছিলাম । কত আনন্দ কত সৃতি। আসলে এখন কাউকেই বোঝানো যাবে না চলচ্চিত্রের সোনালি দিনগুলি কি ছিলো। ছবিটি ১৯৯৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছিল। এক কথায় ব্লকবাস্টার হিট হয়েছিল । জনসমুদ্র ছিল প্রতিটা প্রতিটা শো । এই ছবির সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকেই আমাদের সাথে নেই। সিনেমাটি দেখতে বসে আমার বাবা, সালমান শাহ, হুমায়ুন ফরীদি আঙ্কেল,বাবর আঙ্কেল, নাসির খান আঙ্কেল, চিত্র গ্রাহক আবুল খায়ের চাচার কথা মনে করে খুব কষ্ট হচ্ছিল । দর্শকদের উপস্থিতি দেখে মনটা আসলেই ভরে গেছে।
দীর্ঘ ৩১ বছর পরেও ছবিটিকে মানুষ মনে রেখেছে। ছবি চলার সময় প্রতিটি সংলাপ, ছবির প্রতিটি গান সবার একেবারে মুখস্ত! হলে বসে সবাই রিপিট করছিল। আসলে আমার বাবা গীতিকার হিসাবে তো বটেই পরিচালক হিসেবেও বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিচালক ছিলেন। বাবা এ দেশের দর্শকদের পালস টা খুব বুঝতেন। তাইতো আব্বুর প্রায় সব ছবিই হিট, সুপারহিটও ব্লকবাস্টার হতো। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি,এমন একটি সুন্দর আয়োজনের জন্য।’
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্ম নেন সালমান শাহ। ১৯৯৩ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন সালমান শাহ। তিন বছরের অভিনয় জীবনে ২৭টি মুভিতে সিনেমায় অভিনয় করেছেন যার প্রতিটি মুভিই ব্যবসা সফল।কেয়ামত থেকে কেয়ামত, সুজন সখী, দেন মোহর, স্বপ্নের ঠিকানা, আঞ্জুমান, মহা মিলন,তোমাকে চাই, স্বপ্নের পৃথিবী, সত্যের মৃত্যু নেই, জীবন সংসার, মায়ের অধিকার, স্বপ্নের নায়কসহ অনেক ছিনেমা ছিল উল্লেখযোগ্য।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
আলিসের ফিরতে হবে পরের বিপিএলে
শেষ বিপিএলে চমক দেখিয়ে আবারো লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন আলিস আল ইসলাম। মনে হচ্ছিল, এবার বুঝি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে নিজের জায়গটা পাকাপোক্ত করতে পারবেন। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মমতা। বিপিএলের ফাইনালে নিজের দল চিটাগং কিংসকে তুলে ফাইনাল খেলতে পারেননি। হাঁটুর চোটে ছিটকে যান ফাইনাল থেকে। এরপর তাকে যেতে হয়েছে চিকিৎসকদের ছুরি কাঁচির নিচে। দেশের বাইরে অস্ত্রোপচার শেষ করেছেন। এখন আছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায়। ২২ গজে ফিরতে তাকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে আরেকটি বিপিএলের। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে পারে বিপিএল। সেই প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখেই মাঠে ফেরার পরিকল্পনা করছেন বৈচিত্র্যময় স্পিনার।
রাইজিংবিডি-কে মুঠোফোনে আলিস বললেন, ‘‘আগামী বিপিএল দিয়ে আমার মাঠে ফেরার পরিকল্পনা। এর আগে চাইলেও পারব না। কারণ আমার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া লম্বা হবে। এ প্রক্রিয়ায় আমি কেমন করি সেটার ওপর নির্ভর করবে আমার ফেরা। বিপিএলে এখনো সময় আছে। এজন্য চাইচ্ছি ধীর-স্থির গতিতে আগাতে। বোলিং কিংবা রানিং বা হাঁটা কবে শুরু করতে পারবো— এসব কিছুই এখনো ঠিক হয়নি। আপাতত আমাকে প্রপার ডায়েট, কিছু এক্সারসাইজ, কিছু থেরাপি আর মেডিটেশন করতে হবে। এসব করলে আমার ফেরার প্রক্রিয়ায় দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব।’’
হাঁটুর এসিএল (অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট) চোটে পড়েছেন আলিস। অস্ত্রোপচার বাধ্যতামূলক ছিল। মালয়েশিয়ায় গত মাসে করানো হয় আলিসের অস্ত্রোপচার। ২১ দিন পুরোপুরি বিশ্রামের পর গত সপ্তাহে শুরু হয় তার পুনর্বাসন। এ ধরণের অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে ৯ মাস সময় লাগে। প্রকারভেদে আরো অনেক বেশি ও কম সময় লাগতে পারে। যেমন, ইবাদত হোসেনেরই লেগেছে প্রায় ১৩ মাস। আলিসের কম সময় লাগতে পারে স্পিনার হওয়াতে। দ্বিতীয়ত, কিভাবে নিজেকে যত্ন করছেন সেটাও নির্ভর করছে।
আরো পড়ুন:
খুলনায় ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা শুরু
টিভিতে আজকের খেলা
বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি বলেছেন, ‘‘আমাদের টার্গেট নেক্সট বিপিএল। আমরা চাইছি সে যেন বিপিএলটা খেলতে পারে। দেখা যায় এসিএলে ৯ মাস সময় লাগে। আমরা সেটা ওভারকাম করতে চাচ্ছি। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করবে, কবে নাগাদ বোলিং শুরু করতে পারবে। বিপিএলটা টার্গেটে রেখে এগোনোর চেষ্টা করছি।”
২০১৯ সালে বিপিএলে যাত্রা শুরু করার পর অনেক চড়াই উৎরাই হয়েছে। বোলিং অ্যাকশন শোধরানো লেগেছে। ইনজুরিতে দেড় বছর বাইরে কাটিয়েছেন। তবুও ফিরে এসে বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এবারও বিশ্বাস, ফিরে এসে নিজের ছন্দেই থাকবেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল