‘১২ জন’ নিয়ে খেলেছে ভারত, ইংল্যান্ডের অসন্তুষ্টি
Published: 1st, February 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ ব্যবহারের নিয়ম নেই, তবে ভারত-ইংল্যান্ডের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে এমনই এক বিতর্কিত ঘটনা ঘটেছে। পুনেতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শিবম দুবে কনকাশন সাব হিসেবে বদলি হওয়ার পর বোলিংয়ে নামানো হয় হর্ষিত রানাকে, যা নিয়মবহির্ভূত বলে মনে করছে ইংল্যান্ড।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩৪ বলে ৫৩ রান করেন দুবে। পরে কনকাশনের অজুহাতে তাকে সরিয়ে জায়গা দেওয়া হয় পেসার হর্ষিত রানাকে, যিনি বল হাতে ৪ ওভারে ৩ উইকেট শিকার করেন। দুবের পরিবর্তে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভূমিকার একজন ক্রিকেটার মাঠে নামানোয় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ড দল।
আইসিসির কনকাশন বদলির নিয়ম অনুযায়ী, মাথায় আঘাত পাওয়া খেলোয়াড়ের জায়গায় কেবল একই ভূমিকার অন্য একজনকে নামানো যায়। অর্থাৎ, ব্যাটসম্যানের বদলে ব্যাটসম্যান, বোলারের বদলে বোলারই নামাতে হয়। কিন্তু ভারত ব্যাটিং অলরাউন্ডার দুবের বদলে একজন ফাস্ট বোলার নামিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইংল্যান্ড।
ম্যাচ শেষে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার পরোক্ষভাবে ভারতের কৌশল নিয়ে কটাক্ষ করেন, ‘হয়তো দুবে হঠাৎ ঘণ্টায় ২৫ কিলোমিটার গতিতে বল করা শুরু করেছে, নয়তো হর্ষিত রানার ব্যাটিং অনেক উন্নতি করেছে!’
বাটলার সরাসরি ম্যাচের ফলাফলের জন্য কনকাশন বদলিকে দায়ী না করলেও স্পষ্ট করেছেন, বিষয়টি নিয়ে ইংল্যান্ড ম্যাচ রেফারির কাছে ব্যাখ্যা চাইবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই। যদিও এটি খেলার অংশ, আমাদের ম্যাচটি জেতা উচিত ছিল, তবে আমরা এভাবে বদলি খেলোয়াড় নামানোর সিদ্ধান্ত মানতে পারছি না।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে দূরপাল্লার বাস-পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে দুজন নিহত
ঝালকাঠির রাজাপুরে দূরপাল্লার হানিফ পরিবহন ও একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে রাজাপুর-ভান্ডারিয়া আঞ্চলিক সড়কের রাজাপুর উপজেলা গালুয়া ইউনিয়নের পাকাপুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাগুরার পারনান্দুয়ালী এলাকার মৃত মজিদ বিশ্বাসের ছেলে মশিউর রহমান বিশ্বাস (৬৫) ও ফরিদপুরের কামারখালী এলাকার আজিজ বিশ্বাসের ছেলে সুয়াজ বিশ্বাস (৪৫)। তাঁরা দুজনেই পিকআপ ভ্যানের চালক। দুর্ঘটনার সময় চালকের আসনে ছিলেন সুয়াজ বিশ্বাস।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পিকআপ ভ্যানটি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে রাজাপুরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। পিকআপ দুমড়েমুচড়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। চালকের আসনে থাকা সুয়াজ বিশ্বাসের লাশ পিকআপের ভেতরে আটকা পড়েছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে লাশটি বের করা হয়। অপর চালক মশিউর রহমানের লাশ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পিকআপ ভ্যান থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র ও একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
নিহত মশিউর রহমানের খালাতো ভাই রুহুল আমিন (৬৫) মুঠোফোনে জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম বোঝাই করে পিকআপটি নিয়ে দুই চালক ঝালকাঠির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন। নিহত মশিউর রহমান দুই ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা। তাঁর স্বজনেরা লাশ নিজেদের হেফাজতে নিতে ঝালকাঠিতে রওনা দিয়ে গেছেন।
অপর দিকে দূরপাল্লার বাসটিতে কোনো যাত্রী ছিলেন না। একজন গাড়ির চালক ও দুজন সহকারী ছিলেন। তাঁরা ঘটনার পর পলাতক। রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে। অপর জনের লাশ পিকআপের মধ্যে আটকা পড়ায় তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।