সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, “সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গ্রামীণ এলাকা, শহর সমাজসেবা কার্যক্রম, দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এবং মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।”

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পিকেএসএফ (পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন), গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিনিধি এবং সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মাইক্রোফাইন্যান্স বিষয়ে সভায় তি‌নি এ কথা বলেন।

উপ‌দেষ্টা ব‌লেন, “ভাতা প্রদান ও ক্ষুদ্রঋণ প্রদানে যে সমস্যা দেখতে পাচ্ছি তা সমাধানের উদ্যোগ নিতে নতুনভাবে ভাবতে হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ক্ষুদ্র ঋণ ও সঞ্চয় কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে সমগ্র দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে শহর এলাকাকে টেকসই আত্মনির্ভরশীল দারিদ্র্যমুক্ত ও ভিক্ষুকমুক্ত এলাকায় রূপান্তর করা এবং দ্বৈততা পরিহার করা প্রয়োজন।”

এই মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আর ভিক্ষুক তৈরি করতে চাই না উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “সমন্বিত ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নের জন্য একটি রিপোর্ট প্রয়োজন। এই রিপোর্টের অ্যাসেসমেন্ট এর ওপর ভিত্তি করে নতুনভাবে দরিদ্র মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে চাই। দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে একই ছাতার নিচে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের দিক-নির্দেশনা দেন তিনি।

এ সময় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.

মো. মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ