রাজশাহী বোর্ডে ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পাসের হার
Published: 10th, July 2025 GMT
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষায় ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত সাত বছরের তুলনামূলক ফলের পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, গত বছর পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। তার আগের বছরগুলোর মধ্যে ২০২৩ সালে ৮৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ২০২১ সালে ৯৪ দশমিক ৭১ শতাংশ, ২০২০ সালে ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ৯১ দশমিক ৬৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছিল।
এ বছর রাজশাহী বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৯২ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৩ জন। পাসকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও শতকরা হার—দুটিই গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ হাজার ৩২৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ১০ হাজার ৩৬৫ জন এবং ছাত্রী ১১ হাজার ৯৬২ জন। পাসের দিক থেকে ছাত্রীদের ফল ভালো—৮২ দশমিক ০১ শতাংশ ছাত্রী পাস করেছে, যেখানে ছেলেদের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
রাজশাহী বোর্ডের অধীন ২ হাজার ৬৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৯৯টি স্কুল থেকে অংশগ্রহণকারী সবাই পাস করেছে। কোনো স্কুলেই শূন্য পাসের হার দেখা যায়নি। মোট ২৬৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং পরীক্ষা চলাকালে ৭ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, “ফল প্রতিবছরই ভিন্ন হয়। কোন ব্যাচ ভালো করে, কোনটা কিছুটা পিছিয়ে থাকে—এটাই স্বাভাবিক। এটা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। সবাই মিলে বসে বিশ্লেষণ করে দেখব।”
ঢাকা/ কেয়া/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প স কর ছ পর ক ষ ত বছর দশম ক বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস