সুন্দরবন দিবস পালনে খুলনাসহ ৫ জেলায় প্রস্তুতি
Published: 2nd, February 2025 GMT
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে খুলনার সুন্দরবন একাডেমি। সুন্দরবনের ইমপ্যাক্ট জোন হিসেবে পরিচিত পার্শ্ববর্তী পাঁচটি জেলার ১৭টি উপজেলায় চলবে সচেতনতামূলক নানা কর্মসূচি। এ ছাড়া দিবস উপলক্ষে থাকছে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, সিগনেচার ক্যাম্পেইন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাইকেল র্যালি, মানববন্ধন ও আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা।
দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালোবাসুন’। মূল অনুষ্ঠান হবে খুলনা প্রেস ক্লাবে। এর মধ্যে রয়েছে– আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও সাইকেল র্যালি। এ ছাড়া সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর ও বরগুনায় বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
পলিথিন এবং প্লাস্টিক দূষণ থেকে সুন্দরবনের প্রাণী ও উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সুরক্ষায় ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবারের সুন্দরবন দিবসকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
দিবস উপলক্ষে এবার ‘ক্যামেরার ফ্ল্যাশে সুন্দরবন সুরক্ষার বার্তা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। খুলনা প্রেস ক্লাবে এ প্রতিযোগিতায় সবাই একটি ছবি পাঠাতে পারবেন। ছবিতে সুন্দরবনের দূষণ প্রতিরোধ এবং সুন্দরবন সংরক্ষণের বার্তা থাকতে হবে। ছবিটি মৌলিক হতে হবে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার মধ্যে মধ্যে সর্বোচ্চ ১০০ মেগাবাইটের ছবির সফট কপি https://qrfy.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন দরবন
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেল ৩৭টি প্রতিষ্ঠান
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের একেকটি ২০ থেকে ৫০ টন পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে চলতি বছর ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সেটি কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন করা হয়। সেই তুলনায় এবার অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানি পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। অনুমোদিত পরিমাণের বেশি রপ্তানি করা যাবে না। অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় এই রপ্তানির অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো খুলনার আরিফ সি ফুডস, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, লোকজ ফ্যাশান ও মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, চট্টগ্রামের জেএস এন্টারপ্রাইস ও আনরাজ ফিশ প্রোডাক্টস, যশোরের লাকী এন্টারপ্রাইজ, এমইউ সি ফুডস, লাকী ট্রেডিং, রহমান ইমপেক্স ফিস এক্সপোর্ট, মোহাতাব অ্যান্ড সন্স, জনতা ফিস, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও কেবি এন্টারপ্রাইজ, ঢাকার ভিজিল্যান্ড এক্সপ্রেস, স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ, মাজেস্টিক এন্টারপ্রাইজ ও বিডিএস করপোরেশন, বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এ আর এন্টারপ্রাইজ ও তানিসা এন্টারপ্রাইজ, পাবনার নোমান এন্টারপ্রাইজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং কোং, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, আরফি ট্রেডিং করপোরেশন, জারিফ ট্রেডিং করপোরেশন, জারিন এন্টারপ্রাইজ, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল ও সততা ফিস, ভোলার রাফিদ এন্টারপ্রাইজ, সাতক্ষীরার মা এন্টারপ্রাইজ ও সুমন ট্রেডার্স।