মেহেদী মিরাজ ও নাসুম আহমেদের স্পিন ঘূর্ণিতে ধসে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৯ উইকেটে হেরেছে রংপুর রাইডার্স। টুর্নামেন্টে টানা ৮ জয় পাওয়া দলটি পরের পাঁচ ম্যাচে হেরেছে। মিরাজ ও নাসুম ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম। 

এলিমিনেটর ম্যাচে রংপুর বিদেশি বড় বড় তারকা এনেও পাত্তা পায়নি। নাসুম আহমেদ তার ৩ উইকেটের মধ্যে ইংলিশ ওপেনার জেমস ভিন্সি ও অস্ট্রেলিয়ান মিডল অর্ডার ব্যাটার টিম ডেভিডকে আউট করেন। বিষয়টি নিয়ে ম্যাচ শেষে নাসুম জানান, মিরপুরের উইকেটে বিদেশিদের বল করতে তার ভালো লাগে। 

নাসুম বলেন, ‘(পাওয়ার প্লেতে) টানা বোলিং করার কারণ হচ্ছে ওদের ডানহাতি ব্যাটার বেশি ছিল। ওই খানে আমার বোলিংটা ট্রিকি ছিল। এর আগের ম্যাচে (পাওয়ার প্লেতে কম বোলিং করা) প্লানই ওমন ছিল। এছাড়া ক্রিজে ডানহাতি-বাঁহাতি ব্যাটার ছিল। আমার মনে হয়, (আজ) ১৮০ রানের উইকেট ছিল। প্রথম ওভারে রান আউটে ওরা ব্যাক ফুটে চলে গেছে। আমি যখন বোলিং করছিলাম, ভালো লাগছিল। কারণ এই উইকেটে বিদেশিদের বোলিং করতে আমার ভালোই লাগে।’ 

রংপুর রাইডার্স টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে। তাদের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল কিনা এমন প্রশ্নে নাসুম জানান, তারাও টস জিতলে শুরুতে ব্যাটিং করতেন, ‘আসলে আমরাও শুরুতে ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম। ওদের ৩ জন বিদেশি আসছে জানতাম না। আসছে শুনেছিলাম। তাদের নিয়ে সেভাবে পরিকল্পনাও করতে পারিনি। তবে বললাম তো, এই উইকেটে বিদেশিদের বিপক্ষে বোলিং করতে আমার ভালোই লাগে।’ 

খুলনা টাইগার্স গ্রুপ পর্বের শেষ ভাগ থেকে নকআউটের মতো করে টুর্নামেন্ট খেলছে। শেষ চারে আসতে গ্রুপের শেষ দুই ম্যাচেই তাদের জিততে হতো। মিরাজরা সেটা করে দেখিয়েছেন। এরপর এলিমিনেটরে হার মানেই বিদায়। হারেননি মিরাজরা। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারও জেতার চেষ্টা করবেন উল্লেখ করে নাসুম বলেন, ‘জয়ের বিশ্বাস নিয়েই আমরা গত ৩ ম্যাচ ভালো খেলেছি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ন স ম আহম দ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ