চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগেই অস্ট্রেলিয়ান শিবিরে একের পর এক ধাক্কা। চোটের কারণে অজিদের ঘোষিত স্কোয়াড থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছেন অলরাউন্ডারে মিচেল মার্শ। এবার সেই দলে যোগ দিলেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। এখানেই শেষ নয় স্কোয়াডে থাকা আরেক পেসার জশ হ্যাজেলউডের সেরে ওঠা নিয়েও শঙ্কা আছে। সবকিছু মিলিয়ে বেশ টানাপোড়নে আছে অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, কামিন্স এখনও কোনো ধরনের বোলিংই শুরু করতে পারেননি। তাই অজিদের সবেশেষ বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়কের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়। এদিকে ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, স্টিভেন স্মিথ কিংবা ট্রাভিস হেডের মধ্যে একজন আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নেতৃত্ব দেবেন অস্ট্রেলিয়াকে।

শ্রীলঙ্কায় দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বুধবারই দেশ ছাড়ার কথা অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ক্রিকেটারদের। কিন্তু কলম্বোর পথে সেই উড়ানে থাকছেন না প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, চোটে পড়া অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক এখনও কোনো ধরনের বোলিং শুরু করতে পারেননি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
এসইএন রেডিওকে কোচ ম্যাকডোনাল্ড জানান, “প্যাট কামিন্স এখনও কোনো ধরনের বোলিং শুরু করতে পারেনি। তার খেলার সম্ভাবনা তাই অত্যন্ত কম। এর মানে হলো, আমাদের একজন অধিনায়ক প্রয়োজন।”

আরো পড়ুন:

৫০ মিনিটেই শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট

ভারতের ওয়ানডে দলে রহস্যময় স্পিনার

অস্ট্রেলিয়ার কোচ এরপরই নিশ্চিত করেছেন, স্টিভেন স্মিথ কিংবা ট্রাভিস হেডের মধ্যে একজন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নেতৃত্ব দেবেন অস্ট্রেলিয়াকে, “চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পরিকল্পনা তৈরির সময় দেশে প্যাটির (কামিন্স) সঙ্গে আলোচনা করার পর স্মিথ এবং হেডের নাম সামনে এসেছে। নেতৃত্বের জন্য তাদের দুজনের দিকেই আমারা তাকাব।”

ম্যাকডোনাল্ড আরও যোগ করেন, “তাদের দুজনের নাম আসলে নিশ্চিতভাবে আসার কথা। স্টিভ এখানে (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) প্রথম টেস্ট ম্যাচে অসাধারণভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে। ক্যারিয়ারজুড়ে ওয়ানডেতে আগেও বেশ ভালো কাজ করেছে সে। সুতরাং, তাদের দুজনের মধ্যে একজনকেই অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচন করা হবে।”

বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে বাড়তি বোলিং চাপ নেওয়ার কামিন্সের অ্যাঙ্কেলে চোট হয়েছে। তাছাড়া, দ্বিতীয় সন্তান জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকারও ব্যাপার ছিল। সবমিলিয়ে চলতি শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট সিরিজে খেলতে পারছেন না কামিন্স। তবে চোটের যা অবস্থা তাতে, ছুটি না পেলেও এই সিরিজে তার খেলা হতো না। তীব্র শঙ্কা থাকার পরও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কামিন্সকে অধিনায়ক করেই দল ঘোষণা করা হয়েছিল এই আশায় যে, হয়তো সেরে উঠবেন তবে সেটা আর সম্ভব নয়।

কামিন্সের জন্য হতাশা প্রকাশ করে হ্যাজেলউডকে নিয়েও দুর্ভাবনার কথা জানালেন ম্যাকডোনাল্ড, “জশ হ্যাজেলউডের ব্যাপারটিও আছে, ফিট হয়ে উঠতে লড়ছে সে। আগামী দিন দুয়েকের মধ্যে মেডিকেল তথ্যগুলো আসবে, আমরা আরও ভালোভাবে বুঝতে পারব একং সবাইকে জানতে পারব যে, কোন পথে এগোচ্ছি।”

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট ব য ক চ কর র স য গ

এছাড়াও পড়ুন:

তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া

পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান। শনিবার (১ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন ঘোষিত চূড়ান্ত ফলে দেখা যায়, বুধবারের নির্বাচনে তিনি ৯৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। খবর বিবিসির। 

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনে স্বচ্ছতার অভাব এবং ব্যাপক অস্থিরতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচন ঘিরে দেশটিতে গত কয়েক দিনে সহিংসতায় কয়েক শ’ মানুষ নিহত ও বহু আহত হয়েছে। দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে নিহতের সঠিক সংখ্যা যাচাই কঠিন হয়ে পড়েছে।

সরকার সহিংসতার মাত্রা কমিয়ে দেখানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অস্থিরতা দমনে দেশজুড়ে কারফিউও বাড়ানো হয়েছে।

ক্ষমতাসীন চামা চা মাপিন্দুজি (সিসিএম) দলের প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে ভোটের আগে ভিন্নমত পোষণকারী ও বিরোধীদের ওপর কঠোর দমনপীড়ন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। প্রধান দুই বিরোধী দলকেই নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয়নি।

ফলে নির্বাচনের পরই বৃহত্তম নগরী দার-এস-সালাম ও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবারও বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। অস্থিরতা বন্ধ করার জন্য সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা সামিয়ার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে এবং অসংখ্য গাড়ি, পেট্রোল স্টেশন এবং থানায় আগুন দেয়। 

বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বেশিরভাগ তরুণ বিক্ষোভকারীরা, যারা নির্বাচনকে অন্যায্য বলে সমালোচনা করেছেন। তাদের অভিযোগ, সরকার প্রধান বিরোধী নেতাদের দমন করে গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করছে। প্রধান দুই বিরোধী নেতার মধ্যে একজন কারাগারে রয়েছেন এবং অন্যজনকে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

বিরোধী চাদেমা দলের একজন মুখপাত্র শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে তানজানিয়ার একটি কূটনৈতিক সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, কমপক্ষে ৫০০ জন মারা যাওয়ার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ কম্বো থাবিত এই সহিংসতাকে ‘এখানে-সেখানে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিরাপত্তা বাহিনী খুব দ্রুত ও দৃঢ়তার সাথে কাজ করেছে।”

প্রধান দুই বিরোধী দলীয় নেতার মধ্যে চাদেমা দলের টুন্ডু লিসুকে নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রদোহের অভিযোগ আটক করা হয়, যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং এসিটি-ওয়াজালেনডো দলের নেতা লুহাগা এমপিনাকে আইনি কৌশল খাটিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।

১৬টি প্রান্তিক দল, যাদের কারোরই ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য জনসমর্থন ছিল না, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

সামিয়ার ক্ষমতাসীন দল সিসিএম, দেশটির রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে কখনও কোনো নির্বাচনে সিসিএম হারেনি।

নির্বাচনের আগে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো বিরোধী ব্যক্তিত্বদের জোরপূর্বক গুম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের নিন্দা জানিয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলির মৃত্যুর পর ২০২১ সালে তানজানিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে সামিয়া ক্ষমতায় আসেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাবি থেকে ড. জাকির নায়েককে ডক্টরেট দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের
  • সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিকুর, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর
  • বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • নামতে গেলেই চালক বাস টান দিচ্ছিলেন, পরে লাফিয়ে নামেন
  • তানজানিয়ার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের বিজয়ী সামিয়া