মেঘনায় ডাকাত দলের গোলাগুলিতে নিহতের ঘটনায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 5th, February 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীতে নৌ-ডাকাত দলের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানায় দায়ের করা এ মামলায় নৌ-ডাকাত দলের প্রধান জহিরুল ইসলাম ওরফে কানা জহিরকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১২টায় নিহত রাসেল ফকিরের মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। উত্তর মতলব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি রবিউল হক জানান, মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১২ থেকে ১৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৭টায় মুন্সীগঞ্জ সদরের ভাষানচর গ্রামের সামনে কলাকান্দি নামক স্থানে মেঘনা নদীতে কানা জহির ও কিবরিয়া মিজির নেতৃত্বাধীন দুই ডাকাত দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গোলাগুলির ফলে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ভাষানচরের বাসিন্দা রাসেল (৩২) ও চাঁদপুরের মতলব থানার রিফাত (২৯) নিহত হন।
এ ঘটনায় আরও একজন, আইয়ুব আলী (৩২), গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মেঘনা নদীর ডাকাত চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়, এবং তাদের দমন করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তদন ত ড ক ত দল র
এছাড়াও পড়ুন:
বাবা মারা গেছেন ৭ দিন আগে, আজ বাসচাপায় প্রাণ গেল ছেলেরও
মাত্র সাত দিন আগে বাবা মারা গেছেন। আজ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ছেলে। চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের চাপায় মোটরসাইকেলচালক মো. মুরাদ (৩৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বরদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুরাদ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মধুপুর গ্রামের বাসিন্দা সদ্যপ্রয়াত মো. শাহজাহানের ছেলে। তিনি ঢাকার উচ্চ আদালতে কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পরিবার, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের ছুটিতে মুরাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা গ্রামের বাড়িতে আসেন। মুরাদ তখন ঢাকায় ছিলেন। ছুটি শেষে আজ সকালে মোটরসাইকেল চালিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের আনতে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে বরদিয়া এলাকায় পৌঁছালে চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী ‘জৈনপুর এক্সপ্রেস’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় মুরাদ বাসের নিচে চাপা পড়েন। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মুরাদের চাচাতো ভাই মোবারক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ আগে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর (মুরাদ) বাবা মারা যান। সপ্তাহ না যেতেই আজ দুর্ঘটনায় মারা গেল মুরাদ। এত অল্প সময়ের মধ্যে পরিবারের দুজন সদস্যের মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। এ ঘটনায় পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্ত্রী-সন্তানদের আর ঢাকায় নেওয়া হলো না তাঁর। এর আগেই সব শেষ।’
মুরাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেহ আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ওই বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।