‘সব প্রাণ বলে আজ সদলবলে শিহরিত তনু-মন
দেখ খুশি চারিদিক-আলো ঝিকমিক, হচ্ছে বনভোজন।’

প্রাণের উচ্ছ্বাসে সদলবলে দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডি ডটকমের কর্মীরা মিলিত হচ্ছেন বনভোজনে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে সাভারে নীলাবর্ষা রিসোর্টে এই আয়োজন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে ৪ সাংবাদিককে আটকে মারধর, ‌‘গুলি’ 

শরীয়তপুরে হাতুড়ি নিয়ে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আহত ৪

পিকনিক ও প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশ নেবেন রাইজিংবিডি ও ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সবার আনন্দঘন অংশগ্রহণে সকালের নাস্তা সেরে সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হবে প্রথম পর্ব। এ পর্বে থাকবে ক্রিকেট, ফুটবল, স্ট্যাম্পিং, গোলিং, টিটি ব্যাট-বল, বল থ্রো করে ঝুড়িতে ফেলাসহ বিভিন্ন খেলা। সবাই অংশ নিতে পারবেন প্রতিটি ইভেন্টে। দুপুরে সুইমিংয়েরও ব্যবস্থা থাকবে। খেলায় বিজয়ী ও বিজিত উভয় দলের জন্য থাকছে পুরস্কার।

এরপর দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে প্রতিনিধি সম্মেলন। সম্মেলনে রাইজিংবিডি ডটকমের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

এ বিষয়ে রাইজিংবিডির বার্তা সম্পাদক রাসেল পারভেজ বলেন, “রাইজিংবিডি ডটকমের প্রতিনিধি সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বিভাগ, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরা। প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয়েছে। রাইজিংবিডিকে নতুন লক্ষ্যে নিয়ে যেতে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হবে।”

দুপুরের খাবার ও বিরতির পর দ্বিতীয় পর্বে থাকবে বাউল গান, গল্পস্বল্প, কবিতা আবৃত্তি ও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স। এরপর কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পিঠামুখ। বিকেল ৪টায় হবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় খেলা রাফেল ড্র। তারপর বিকেল ৫টায় পুরস্কার বিতরণ ও নাস্তা।

রাইজিংবিডির নির্বাহী সম্পাদক তাপস রায় বলেন, “এ ধরনের আয়োজন সব সময়ই উৎসবমুখর হয়ে থাকে। রাইজিংবিডির এ আয়োজনও তেমনি উৎসবমুখর এবং প্রাণবন্ত হবে বলে আমি আশা করছি।”

ঢাকা/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কমিটি নেই, সবাই নেতা

কয়রা উপজেলা বিএনপির কমিটি নেই একযুগ। দীর্ঘদিন ধরে চলেছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে। সেটিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে ৪ মাস আগে। কমিটি না থাকায় দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে। ভেঙে পড়ছে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাও। কেউ কারও কথা শুনছেন না। অবস্থা এমন, যেন সবাই নেতা– অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীর। 
কমিটি না থাকলেও উপজেলার একশ মিটারের মধ্যে পৃথক দুটি কার্যালয় রয়েছে। একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) নুরুল আমিন বাবুল। আরেকটি কার্যালয় চলছে খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসানের নেতৃত্বে। নেতৃত্বের এ দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি নেই। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছাড়া অন্যান্য কর্মসূচিতে কার্যক্রমও সীমিত। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি দেওয়ার দাবি দলীয় নেতাকর্মীর।
পৃথক কার্যালয়ের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান বলেন, উপজেলায় একটি দলীয় কার্যালয় ছিল। পরে স্থানীয় একজন নেতা তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আরেকটি কার্যালয় খুলেছেন; যা সংগঠনবিরোধী কাজ। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও এখন পর্যন্ত তিনি কার্যালয়টি বন্ধ করেননি। 
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুর আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর দুই নেতার বিরোধ স্পষ্ট হয়েছে। আগে দলে বিভক্তি থাকলেও আলাদা কার্যালয় ছিল না। এখন দুটি কার্যালয় থাকায় বিভ্রান্ত হচ্ছেন কর্মী-সমর্থকরা। 
২০১৩ সাল পর্যন্ত উপজেলায় বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছিল। এরপর দুই দফায় আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ মার্চ মোমরেজুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও নুরুল আমিন বাবুলকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপি। এরপর থেকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নুরুল আমিনকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। এ অবস্থায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু। 
এদিকে কমিটি না থাকায় বেশির ভাগ নেতা স্বার্থের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন। কয়েকজনের বিরুদ্ধে হাট, ঘাট, খাল দখলের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি সুবিধায় হস্তক্ষেপেরও অভিযোগ আছে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ অবস্থায় দ্রুত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির সাবেক নেতা আব্দুস সামাদ। 
সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আমিন বলেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে আমাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে দলীয় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছি না। আশা করছি খুব দ্রুতই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হবে। তখন গ্রহণযোগ্য কমিটি গঠনের চেষ্টা করব। 
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বলেন, এ মুহূর্তে কয়রায় বিএনপির কোনো কমিটি নেই। কমিটি হলে দলীয় সব বিরোধ মিটে যাবে বলে আশা করছি। 
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, কয়রায় কমিটি গঠনের জন্য জেলা বিএনপি থেকে ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি নেতাকর্মীর বিরোধও নিষ্পত্তি করবে। দ্রুতই ঐক্যবদ্ধ একটি কমিটি উপহার দেওয়া হবে।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুরনো স্বাদের ঝুরা মাংসের
  • ভাত খাওয়ার সময় কেন ভাতটাই পরে খেতে বলেন চিকিৎসকেরা?
  • অনলাইন মার্কেটপ্লেস এখন হোয়াটসঅ্যাপে
  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা