পাকিস্তানকে আবারও নিষিদ্ধ করল ফিফা
Published: 7th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়া পাকিস্তান ফুটবলে নতুন কিছু নয়। এর আগে দুইবার পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ করেছিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (ফিফা)। সেই তালিকায় আরও একবার যোগ হয়েছে পাকিস্তানের নাম।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ফিফা। এ নিয়ে আট বছরে তিনবার ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়লো পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন (পিএফএফ)।
মূলত, দেশটির ফুটবলের গঠনতন্ত্রে সংশোধন আনার জন্য সুপারিশ করেছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু ফিফার প্রস্তাবিত সংশোধিত গঠনতন্ত্র প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তানের ফুটবল ফেডারেশন। যার ফলে আবারো ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়লো তারা।
এদিকে পিএফএফ নরমালাইজেশন কমিটির চেয়ারম্যান হারুন মালিকের ধারণা, বিশ্ব ফুটবল সংস্থা ও পাকিস্তান ফুটবলের নবনির্বাচিত কংগ্রেসের মধ্যে অচলাবস্থা বিরাজমান থাকায় এই শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হয়েছে।
তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতে পিএফএফের সংবিধানে কিছু সংশোধন করতে চায় ফিফা। তবে পিএফএফ কংগ্রেসের নব-নির্বাচিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ফিফার প্রস্তাবে সম্মত হয়নি।
তবে ফিফা ও এএফসির প্রস্তাবিত সংশোধিত সংবিধানের অনুমোদন দিলে পিএফএফের এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফিফা।
ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পিএফএফ কংগ্রেস যদি ফিফা ও এএফসির প্রস্তাবিত সংশোধিত সংবিধানকে অনুমোদন দেয়, তাহলে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
ফিফা আরও বলেছে, সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পিএফএফকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা গৃহীত হলে সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। একইসঙ্গে পিএফএফে চলমান স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ফিফার বাধ্যবাধকতাগুলোও পূরণ হবে।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
ভুয়া ফুটবল দল গড়ে জাপানে আদম পাচার, পাকিস্তানে দালাল গ্রেপ্তার
পাকিস্তানে ফুটবল এজেন্ট পরিচয়ে মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ)। ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে অবৈধ অভিবাসীদের ফুটবল খেলোয়াড় সাজিয়ে জাপান পাঠাতেন ওয়াকাস আলী নামের ওই ব্যক্তি। তিনি শিয়ালকোটের পাসরুর শহরের বাসিন্দা। ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে আটক করেছে এফআইএর গুজরানওয়ালা জোন।
এফআইএ এর এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ওয়াকাস আলী ১৭ জন অভিবাসীর সঙ্গে যোগসাজশ করে বোয়াভিস্তা ফুটবল ক্লাবের আমন্ত্রণপত্র ব্যবহার করে জাপানের ১৫ দিনের ভিসা সংগ্রহ করেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ এর খবরে বলা হয়, সেই সিনিয়র কর্মকর্তা দাবি করেন, ওয়াকাস আলী পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের (পিএফএফ) ভুয়া রেজিস্ট্রেশন, চিঠি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নকল অনাপত্তিপত্র ব্যবহার করেন।
আরও পড়ুনকাশির সিরাপ খেয়ে নিষিদ্ধ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন এখন ফেরার অপেক্ষায়৪ ঘণ্টা আগেসিনিয়র কর্মকর্তার ভাষ্য, প্রধান সন্দেহভাজন ওয়াকাস ‘গোল্ডেন ফুটবল ট্রায়াল’ নামে একটি ভুয়া ক্লাব গড়ে তোলেন এবং অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের কাছ থেকে তিনি ৪০ থেকে ৪৫ লাখ রুপি নিয়েছেন। ওই ব্যক্তিরা ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি জাপানে গিয়ে আর পাকিস্তানে ফেরেননি। এফআই-এর গুজরানওয়ালা জোনের পরিচালক মুহাম্মদ বিন আশরাফ ডনকে বলেন, সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
তদন্তে জানা গেছে, ওয়াকাস আলী একই ধরনের আরেকটি প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০২৫ সালের ১৫ জুন তিনি জাপানে ২২ সদস্যের একটি ভুয়া ফুটবল দল পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে জাপানের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাঁদের বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠায়। এরপর এফআইএ তদন্ত শুরু করে এবং ওয়াকাসকে গ্রেপ্তার করে মামলা রুজু করে।
আরও পড়ুনরেফারিকে মারধর, রাজশাহীকে জরিমানা, ৫ ফুটবলার ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ১৯ ঘণ্টা আগেএফআইএ অফিশিয়ালদের বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, জাপানের বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসা সেই ২২ জনের সবাই ফুটবল কিট পরে নিজেদের পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের (পিএফএফ) খেলোয়াড় দাবি করেছিলেন এবং সঙ্গে ছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাল অনাপত্তিপত্র।
তবে জাপানের বিমানবন্দরে জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রতারণা ধরা পড়লে তাঁদের ফেরত পাঠায় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। যদিও প্রশ্ন থেকে গেছে, এসব ‘ভুয়া’ খেলোয়াড় কীভাবে পাকিস্তানের বিমানবন্দর পেরোতে সক্ষম হলো।