সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়া পাকিস্তান ফুটবলে নতুন কিছু নয়। এর আগে দুইবার পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ করেছিল বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (ফিফা)। সেই তালিকায় আরও একবার যোগ হয়েছে পাকিস্তানের নাম।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ফিফা। এ নিয়ে আট বছরে তিনবার ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়লো পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন (পিএফএফ)।

মূলত, দেশটির ফুটবলের গঠনতন্ত্রে সংশোধন আনার জন্য সুপারিশ করেছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু ফিফার প্রস্তাবিত সংশোধিত গঠনতন্ত্র প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তানের ফুটবল ফেডারেশন। যার ফলে আবারো ফিফার নিষেধাজ্ঞায় পড়লো তারা।

এদিকে পিএফএফ নরমালাইজেশন কমিটির চেয়ারম্যান হারুন মালিকের ধারণা, বিশ্ব ফুটবল সংস্থা ও পাকিস্তান ফুটবলের নবনির্বাচিত কংগ্রেসের মধ্যে অচলাবস্থা বিরাজমান থাকায় এই শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হয়েছে।

তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করতে পিএফএফের সংবিধানে কিছু সংশোধন করতে চায় ফিফা। তবে পিএফএফ কংগ্রেসের নব-নির্বাচিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ফিফার প্রস্তাবে সম্মত হয়নি।

তবে ফিফা ও এএফসির প্রস্তাবিত সংশোধিত সংবিধানের অনুমোদন দিলে পিএফএফের এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফিফা।

ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পিএফএফ কংগ্রেস যদি ফিফা ও এএফসির প্রস্তাবিত সংশোধিত সংবিধানকে অনুমোদন দেয়, তাহলে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।

ফিফা আরও বলেছে, সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পিএফএফকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা গৃহীত হলে সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। একইসঙ্গে পিএফএফে চলমান স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ফিফার বাধ্যবাধকতাগুলোও পূরণ হবে।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বারের নির্বাচন চেয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদের চিঠি

ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চেয়ে চিঠি দিয়েছে আইনজীবী অধিকার পরিষদ ঢাকা বার ইউনিট।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলামের বরাবর এ চিঠি দেওয়া হয়। এসময় ঢাকার বার ইউনিটের আহবায়ক আইনজীবী মো. মমিনুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আইনজীবী হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। 

চিঠির বিষয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদ বলছে, গত ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্টদের বিদায়ের পর তাদের সমর্থিত আইনজীবীরা পালিয়ে যাওয়ায় এক ক্রান্তিলগ্নে অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে। যদিও ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রে এ ধরনের অ্যাডহক কমিটির বিধান নেই। তবুও ঢাকা বারের আইনজীবীরা বৃহত্তর স্বার্থে এ অ্যাডহক কমিটির কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে। কমিটির দায়িত্ব ছিল গঠনতন্ত্র মোতাবেক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। পরবর্তীতে এক সাধারণ সভায় এ অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ গত ২৬ জানুয়ারি তিন মাস বাড়ানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী এ কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক মাস আগে নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল গঠন করার কথা। তবে ২৮ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন গঠন ও তফসিল ঘোষণার শেষ দিন থাকলেও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ঢাকা আইনজীবী সমিতির ৩২ হাজারের অধিক আইনজীবীর ভোটাধিকার প্রশ্নে কোনো ধরনের অগঠনতান্ত্রিক পদক্ষেপ বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদ সমর্থন করবে না। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগঠন হিসেবে আইনজীবীদের ভোটাধিকার প্রশ্নে আপোষহীন থাকবে। ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন গঠনে অ্যাডহক কমিটিকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানায় সংগঠনটি। 

এ বিষয়ে ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য সচিব আইনজীবী হাবিবুর রহমান বলেন, “নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা এখন চিঠি দিয়েছি। এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। প্রয়োজনে আমরা আইনজীবী অধিকার পরিষদ কঠোর আন্দোলন করবো।” 

ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, “অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আমার বরাবর একটা চিঠি এসেছে। তবে এখনো চিঠি পড়া হয়নি। সাধারণ আইনজীবীরা সিদ্ধান্ত নিয়েই আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। সেই সময় শেষ হয়নি। সাধারণ আইনজীবীরা বসে সিদ্ধান্ত নেবে।”

ঢাকা/মামুন/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বারের নির্বাচন চেয়ে আইনজীবী অধিকার পরিষদের চিঠি
  • জুনিয়র এএফসি বাছাইয়ে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ