আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জামায়াতের
Published: 8th, February 2025 GMT
আইনশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। শুক্রবার বিবৃতিতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ায় কল্যাণ নেই।
সবাই মিলে জোর দাবি তুলি, গত ১৫ বছরে যারা খুন-গুম, লুটপাট, দুর্নীতি, বিশেষ করে চব্বিশের গণহত্যা করেছে, দ্রুত আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার ও সাজা নিশ্চিত করতে হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ভাষণের ‘প্রতিবাদে’ গত বুধবার রাত থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর গুঁড়িয়ে দেওয়াসহ সারাদেশে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অন্তত ৫০ নেতার বাড়িঘরে হামলা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত তিন দিন ধরে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে, তা বিবেক ও দায়িত্ব বোধের জায়গা থেকে অনেকটাই সমর্থনযোগ্য নয়। এসব কর্মকাণ্ডে কোনোভাবেই দায়িত্বশীল নাগরিক সম্পৃক্ত হতে পারেন না।
দায়িত্বশীল কেউ সহিংসতার পক্ষে নয়: মামুনুল হক
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি শুক্রবার বিবৃতিতে বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই যেন সহিংসতা না ঘটে। জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিপ্লব, আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা। হেফাজতে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ দায়িত্বশীল কেউই সহিংস আন্দোলনের পক্ষে নয়।
হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বিবৃতিতে বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে দেশের সব বিক্ষুব্ধ জনতা ও দেশপ্রেমিক জনগণকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সব দেশপ্রেমিক জনগণের দায়িত্ব।
বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ দেখার প্রতীক্ষায় সবাই। অন্যদিকে বসে নেই দেশবিরোধী অপশক্তি, তার দোসর ও পরিকল্পনাকারীরা। জনতার জাগরণের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে যে কোনো মুহূর্তে। আশঙ্কা হচ্ছে, চলমান আন্দোলনকে সহিংস রূপ দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ পরিচালনা করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশে-বিদেশে ভয়ংকর চাপের মুখে পড়বে বাংলাদেশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’
কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে