উপসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ রাখতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে তাকে উচ্চ আদালতে নিষ্পত্তিকৃত বিষয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। 

সোমবার এক বিবৃতিতে এ মতব্যক্ত করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠনটি।

দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত বিষয় নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন না করার জন্য বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়া উপসচিব পদটি শতভাগ প্রশাসন ক্যাডারের বলেও জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে প্রায় ১০ বছর চলার পর আপিল বিভাগের রায় ও রিভিউ শেষে ২০১৬ সালে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়। সেখানে উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশকে বৈধ ঘোষণা করে রায় প্রদান করা হয়। আপিল বিভাগ প্রশাসন ক্যাডারের প্রাসঙ্গিক কর্ম অভিজ্ঞতা ও ঐতিহাসিকভাবেই প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে উপসচিব পদটির সম্পর্ক বিবেচনায় উপসচিব থেকে তদূর্ধ্ব পদে প্রশাসন ক্যাডারের সহজাত অধিকার আছে। অন্য ক্যাডারের সহজাত অধিকার নেই বলে ঘোষণা করে। সুতরাং কমিশনের এই মতামত উচ্চ আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত বিষয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৯২ সালে বিসিএস (সচিবালয়) এবং বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একীভূত হওয়ার পর সচিবালয় সার্ভিসের সব পদ তথা সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব, উপসচিব ইত্যাদি প্রশাসন সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত হয়। পদসোপান অনুযায়ী উপসচিব পদের ফিডার পদ হচ্ছে সিনিয়র সহকারী সচিব এবং সিনিয়র সহকারী সচিবের ফিডার পদ সহকারী সচিব। যেহেতু উপসচিব প্রশাসন ক্যাডারের সহজাত পদ, সেহেতু পদসোপান অনুযায়ী উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারকে শতভাগ পদোন্নতি না দিয়ে তার পরিবর্তে পার্শ্ব-নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে, যা যৌক্তিক নয়।

অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী এবং সভাপতি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম সাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের সার্বিক সংস্কারের উদ্দেশ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। একটি দক্ষ, জনমুখী, নিরপেক্ষ ও জবাবদিহিমূলক জনপ্রশাসন গড়তে এই উদ্যোগকে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা শুরু থেকেই স্বাগত জানিয়েছে। তবে বিভিন্ন গোষ্ঠী নিজ নিজ স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সার্ভিস কর্মকর্তাদের মধ্যে সৌহার্দ্যের পরিবর্তে বিভেদ সৃষ্টির সদিচ্ছাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপসচ ব প সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে বদলি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের একান্ত সচিব (পিএস) মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়াকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

৬ এপ্রিল জারি করা প্রজ্ঞাপনে হাসনাত মোর্শেদকে কী কারণে উপদেষ্টার একান্ত সচিবের পদ থেকে সরানো হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

বিসিএস ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা হাসনাত মোর্শেদ গত বছরের ১৮ আগস্ট ফাওজুল কবির খানের পিএস হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। 

উপদেষ্টাদের পছন্দ অনুযায়ী উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে তাদের একান্ত সচিব নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। 

ওই প্রজ্ঞাপনে বলে দেওয়া হয়, উপদেষ্টা যত দিন পদে থাকবেন অথবা পিএস হিসেবে কাউকে রাখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করবেন, তত দিন পর্যন্ত পিএস পদে থাকবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে বদলি