বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ‘কয়েন ভল্টের’ লকারের মালিক ২৭ কর্মকর্তার নামের তালিকা এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে। তারা সবাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। লকারে অপ্রদর্শিত অর্থসম্পদ জমা রাখার বিষয়ে এরই মধ্যে দুদকে আসা অভিযোগে ওই ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। লকারগুলোতে অপ্রদর্শিত অর্থ ও মূল্যবান সম্পদ জমা রাখা হয়েছে– এমন সন্দেহে গত ২৬ জানুয়ারি একটি লকার খুলে চার কোটি টাকার অর্থসম্পদ পেয়েছে দুদক।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েন ভল্টে মোট লকার ২৫২টি। এর মধ্যে একটি লকার খোলা হয়েছে। বাকি ২৫১টি লকার পর্যায়ক্রমে খোলার পরিকল্পনা রয়েছে দুদকের। আদালতের অনুমতি নিয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে লকার খোলার কাজ সম্পন্ন করছে দুদক। আদালতের অনুমতি নিয়ে গত ২৬ জানুয়ারি দুদক প্রথমে একটি লকার খুলতে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুদক কর্মকর্তাদের সঙ্গে নেতিবাচক আচরণ করেছেন– এমন একটি অভিযোগ এরই মধ্যে দুদক চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে।
লকার নিয়ে দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের বিরাট একটি অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মহানিরাপত্তা এলাকায় জমা রাখা হয়েছে। কোনো ধরনের ফি ছাড়াই বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লকারে ২০ বছরের জন্য অর্থসম্পদ জমা রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। দেশের অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের লকারে উচ্চমূল্যের ফি পরিশোধ করে মূল্যবান সম্পদ ও বিদেশি মুদ্রা জমা রাখার সুযোগ পান সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা।
দুদকে দেওয়া অভিযোগে লকার মালিক যে ২৭ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন– বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো.
এ ছাড়া অতিরিক্ত পরিচালক গোলাম মোস্তফা, মাহমুদ সালাউদ্দিন নাসের, মোস্তফা আজাদ কামাল, দিলীপ কুমার দত্ত, আলাউদ্দীন আল আজাদ, নির্বাহী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক ও বিএফআইইউর উপপ্রধান মো. কাউসার মতিন, বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক কাজী মনির উদ্দীন ও ডেপুটি ম্যানেজার (ক্যাশ) কল্যাণী সাহার নাম রয়েছে। লকার মালিক সাবেক চার কর্মকর্তা হলেন– সাবেক ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, সাবেক নির্বাহী পরিচালক অসীম কুমার দাশগুপ্ত, মোহাম্মদ মাসুম কামাল ভূঁইয়া ও শুভংকর সাহা। বাকি ২২৪ জনের নাম জানা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, আদালতের আদেশ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) নামের লকার খুলতে গেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা অসহযোগিতা ও অহেতুক সময়ক্ষেপণ করেন। লকার খোলা নিয়ে এই বিষয়গুলো লিখিতভাবে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে জানিয়েছে দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান টিম।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেবে না ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস
পুঁজিবাজারে ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডস লিমিটেডের পরিচালনার পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদ সভায় সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তথ্য মতে, লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ৩০ ডিসেম্বর হাইব্রড সিস্টেমে অনুষ্ঠিত হবে। আর এ জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ ডিসেম্বর।
২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.০৩ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৭৮ টাকা।
এদিকে কোম্পানিটির ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে (৪৩.৪৪) টাকা হয়েছে। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির ঋণাত্মক শেয়ারপ্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ছিল (১৪.৫০) টাকা।
আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩.২৭ টাকায়।
এই করপোরেট ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনের কোনো মূল্য সীমা থাকবে না।
ঢাকা/এনটি/ইভা