পটুয়াখালীতে কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বাড়িতে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ড
Published: 12th, February 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বাড়িটির বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
নুরুজ্জামান কাফি ওই গ্রামের এ বি এম হাবিবুর রহমানের ছেলে। হাবিবুর রহমান বলেন, ‘রাতে আমাদের ঘরটিতে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। যে যার মতো করে দরজা ভেঙে আমরা বের হয়েছি। কিছু রক্ষা করতে পারি নাই; সব শেষ হয়ে গেছে। আমাদের পুড়িয়ে মারার জন্যই এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা এ নাশকতার তদন্তপূর্বক বিচার চাই।’
কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইলিয়াস হোসাইন বলেন, ‘রাত সোয়া দুইটার সময় নুরুজ্জামান কাফির বাড়িতে আগুন লাগে। আমরা খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। বাড়ির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। তবে পাশের গোয়ালঘরটাকে নিরাপদ রাখতে পেরেছি। মানুষজনের কোনো ক্ষতি হয়নি। বাড়ির সবাই নিরাপদে ও অক্ষত আছেন।’
প্রতিবেশী ওয়ালি উল্লাহ ইমরান বলেন, ‘আমরা আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে আমরাও আগুন নির্বাপণের কাজে নেমে যাই। বাইরে থেকে দরজা-জানালার ছিটকিনি লাগানো ছিল, এতেই বোঝা যায়, এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ছিল।’
অগ্নিকাণ্ডের সময় নুরুজ্জামান কাফি বাড়িতে ছিলেন না। খবর পেয়ে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে পৌঁছান। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঢাকায় ছিলাম। জুলাই মুভমেন্ট আমি ছিলাম সামনের সারির একজন। ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এ ছাড়া আরও বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে আমি প্রতিবাদ করে থাকি, কথা বলে থাকি। আমার বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে তাঁরাই জড়িত, যাঁদের বিরুদ্ধে আমি সব সময় সোচ্চার।’
নুরুজ্জামান কাফি আরও বলেন, ‘আমার বাড়িতে থাকা জায়গাজমির দলিলসহ মূল্যবান সবকিছু পুড়ে গেছে। পরিকল্পনা করে আমার বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এ নাশকতার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা করতে ব্যর্থ হলে আমি এর বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াইয়ে নামব।’
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জবিতে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস-বিষয়ক সেমিনার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস (আইপিআর): ফস্টারিং ইনোভেশন অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিস কনফারেন্স রুমে এ সেমিনারের আয়োজন করে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)।
আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েকের সভাপতিত্বে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক মেজবাহ-উল-আজম সওদাগরের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক বলেন, “আইপিআর উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো হিসেবে কাজ করে। এটি উদ্ভাবকদের পেটেন্ট, কপিরাইট এবং ট্রেডমার্কের মতো মেধাসম্পদের ওপর আইনি অধিকার নিশ্চিত করে। যার ফলে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ে।”
তিনি আরো বলেন, “ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং বিষয়বস্তুর ওপর মতামত বিনিময় করেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী