বগুড়ার কাহালুতে একটি বিনোদন পার্ক ও রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে শঙ্খচিল, ভুবনচিল, ডাহুক, পাতি সরালি, বেগুনি কালিম, মদনা টিংসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৩৪টি পাখি, ২টি হনুমান ও ২টি রেসাস বানর উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত রাবেয়া পার্ক অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায় বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ঢাকা থেকে আসা একটি দল। বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে কাহালু উপজেলার বীরকেদার এলাকায় পার্কটির অবস্থান।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার পরিদর্শক অসিম মল্লিক ও আবদুল্লাহ আস সাদিক। উদ্ধার করা এসব পাখি তাৎক্ষণিক অবমুক্ত করা হয়। দুটি মুখপোড়া হনুমান সিলেটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও দুটি রেসাস বানর টাঙ্গাইল অভয়াশ্রমে মুক্ত করা হবে বলে বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

অসিম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই বাণিজ্যিক প্রদর্শনের উদ্যোশে কাহালু উপজেলার রাবেয়া পার্কে বিভিন্ন প্রজাতির ৩৪টি পাখি এবং ২টি মুখপোড়া হনুমান ও ২টি বানর সংরক্ষণ করা হয়েছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৩৮টি বন্য প্রাণী উদ্ধার করা হয়। এসব প্রাণীর মধ্যে রয়েছে ২টি হনুমান, ১৫টি ঘুঘু, ৫টি সবুজ টিয়া, ১টি মদনা টিং, ১টি শঙ্খচিল, ২টি রেসাস বানর, ৩টি ভুবনচিল, ৪টি ডাহুক, ১টি পাতি সরালি ও ৪টি বেগুনি কালিম। ওই পার্ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

রাবেয়া পার্ক অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টের মালিক আনিছুল রহমান বলেন, দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য পার্কে হনুমান, বানর ও পাখি প্রদর্শন করা হয়েছিল। বন বিভাগ থেকে অনুমতি নেওয়ার বিষয়টি তাঁদের জানা ছিল না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বন য প র ণ হন ম ন

এছাড়াও পড়ুন:

‘দূরে থেকেও আমরা কাছে, এটাই বাস্তব’

ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘প্রিয়দর্শিনী’খ্যাত নায়িকা আরিফা পারভীন মৌসুমী। সোমবার (৩ নভেম্বর) ৫২ বছর বয়স পূর্ণ করলেন এই অভিনেত্রী। বিশেষ এই দিনে দেশে নেই, সন্তানদের সঙ্গে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন মৌসুমী। 

মৌসুমী যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তার স্বামী ওমর সানী। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে চিত্রনায়ক ওমর সানী কয়েকটি ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট করে স্ত্রীকে ভালোবাসার বার্তা দিয়েছেন।  

আরো পড়ুন:

মৌসুমীকে বিয়ে করা কি ভুল ছিল ওমর সানীর

তারকাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ

এসব ছবির ক্যাপশনে ওমর সানী লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী। দূরে থেকেও আমরা কাছে এটাই বাস্তব, আর যারা আমাদেরকে নিয়ে উল্টাপাল্টা নিউজ করে ওরা হচ্ছে…। শুভ জন্মদিন।” 

জন্মদিনের প্রথম প্রহর থেকে ভক্ত-অনুরাগীরা প্রিয় অভিনেত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। ওমর সানীর এই পোস্টে নেটিজেনদের পাশাপাশি শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মৌসুমীকে।  

চিত্রনায়িকা মুনমুন লেখেন, “শুভ জন্মদিন প্রিয়দর্শিনী, প্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী আপা।” শাহনূর লেখেন, “শুভ জন্মদিন আপু।” আইরিন সুলতানা লেখেন, “শুভ জন্মদিন।” এমন অসংখ্য মন্তব্য কমেন্ট বক্সে ভেসে বেড়াচ্ছে।  

১৯৭৩ সালের ৩ নভেম্বর খুলনায় জন্মগ্রহণ করেন মৌসুমী। তার বাবার নাম নাজমুজ্জামান মনি ও মা শামীমা আখতার জামান। ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী এবং গায়িকা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মৌসুমী। এরপর ‘আনন্দ বিচিত্রা ফটো বিউটি কনটেস্ট’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন, যার ওপর ভিত্তি করে তিনি ১৯৯০ সালে টেলিভিশনের বাণিজ্যিক ধারার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাজের সুযোগ পান। 

চিত্রনায়িকা হিসেবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে মৌসুমীর অভিষেক ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে। এ সিনেমায় সালমান শাহর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হন এ অভিনেত্রী। প্রথম সিনেমাতে নিজেদের মেধার জানান দেন সালমান শাহ ও মৌসুমী। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। দুজনই ঢালিউডে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নেন। তারপর তিন দশকের বেশি সময় ধরে ঢালিউডে মেধার দ্যুতি ছড়াচ্ছেন মৌসুমী। 

নারগিস আক্তার পরিচালিত ‘মেঘলা আকাশ’ ও চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘দেবদাস’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এই অভিনেত্রী পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ