ত্রিদেশীয় সিরিজে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) রাতে দারুণ এক জয় পেয়েছে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে ৬ উইকেটে। এই জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালও নিশ্চিত করেছে তারা। কিন্তু জেতা ম্যাচে আচরণবিধি ভঙ্গ করায় পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটারকে জরিমানা করা হয়েছে। তারা হলেন- শাহীন আফ্রিদি, সৌদ শাকিল ও কামরান গুলাম। জরিমানার পাশাপাশি তাদেরকে একটি করে ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে।

আইসিসির আচরণবিধির লেভেল-১ ভঙ্গ করায় শাহীনকে ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ, সৌদ শাকিল ও বদলি ফিল্ডার হিসেবে নামা কামরানকে ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।

ম্যাচের ২৮তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান ম্যাথিউ ব্রিটজকেকে রান নেওয়ার সময় বাধা দেন শাহীন। তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কাও দেন। পাশাপাশি উত্তপ্ত বাক্যও বিনিময় করেন। এর মাধ্যমে শাহীন আইসিসির আচরণবিধি ২.

১২ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করেন। যেখানে বলা হয়েছে ‘‘একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালিন কোনো খেলোয়াড়, খেলোয়াড়দের সহকারী, আম্পায়ার কিংবা দর্শকদের সঙ্গে অযথাযথভাবে ধাক্কা খাওয়া।’’

আরো পড়ুন:

দলগত দারুণ নৈপূণ্যে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ পাকিস্তানের

বাবরের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের অতিমানবীয় জয়

এরপর ২৯তম ওভারে টেম্বা বাভুমা রান আউট হলে উদযাপনের ঢঙে তার দিকে তেড়ে যান শাকিল। অতিরিক্ত উদযাপন করেন কামরানও। এর মাধ্যমে তারা আইসিসির আচরণবিধির ২.৫ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করেন। যেখানে বলা হয়েছে- ‘‘কোনো ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর এমন অঙ্গভঙ্গি কিংবা ভাষা ব্যবহার করা যেটার কারণে ব্যাটসম্যান আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখাতে প্ররোচিত হন।’’

পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার এই জরিমানা ও ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়ার বিষয়টি মেনে নেওয়ায় আনুষ্ঠানিক কোনো শুনানির প্রয়োজন হয়নি। শুক্রবার ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর তফসিল সোমবার 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে।

রবিবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধি এবং আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল।

জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “২৭ নভেম্বর নয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জকসু নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ডিসেম্বরের ৮, ৯ বা ১০ তারিখ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস—সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জকসু নির্বাচন। তাই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। অনেক ছাত্র সংগঠনও ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যাতে তারা প্রচারণা চালাতে পারে। তবে আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব একটি উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করতে।”

অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “ভোটার তালিকা, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া—এসব খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি  আচরণবিধিও প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে।” 

আজ সব কার্যকর ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও নির্বাচনের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন দ্বিমত না করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই সোমবার বা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করব।” 

ছাত্রদলের সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জকসুর সংবিধি পাস হয়ে গেছে। এখন এটি সংশোধন করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, ইউজিসি, মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে—এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই নতুন করে সংযোজনের সুযোগ নেই।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা স্বীকার করছি। তবে আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় জবির ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ঐক্যবদ্ধ। তাদের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হবে জকসু নির্বাচন।”

অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন,  “২০ বছর পর প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই, জবির এই নির্বাচন সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।”

ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসুতে এআই ব্যবহারে থাকবে শিথিলতা, তবে অপব্যবহার করা যাবে না: নির্বাচন কমিশন
  • জকসুর তফসিল সোমবার