মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ভালো ছক্কা মারতে পারেন। টি-টোয়েন্টিতে স্ট্রাইকরেটটাও সব সময় ভালোই থাকে। তাই বলে ভারত টি-টোয়েন্টি দলের আলোচনায় থাকেন, তেমনটাও নয়। ভারতের হয়ে ৪টি ম্যাচ খেলেছেন, এর মধ্যে ৩টিই টেস্ট, ১টি ওয়ানডে।

বোঝাই যাচ্ছে, যার সম্পর্কে কথা বলা হচ্ছে, সেই রজত পতিদার ওই অর্থে ভারতের ক্রিকেটে ‘হাইপ্রোফাইল’ কেউ নন। এমন একজনই এবারের আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে নেতৃত্ব দেবেন। তাঁর অধীনে খেলবেন বিরাট কোহলি, ভুবনেশ্বর কুমার, লিয়াম লিভিংস্টোনরা।

প্রশ্ন তাই স্বাভাবিকভাবেই ওঠে—এতজন অভিজ্ঞ ও সিনিয়র খেলোয়াড় থাকতে পতিদার কেন অধিনায়ক? দলে ভারত জাতীয় দলকে তিন সংস্করণে নেতৃত্ব দেওয়া কোহলি আছেন। ২০১২ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বেঙ্গালুরুকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। তবে ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান নিজেই আর অধিনায়কত্বে ফিরতে চান না। চার বছর আগে দায়িত্ব ছাড়ার সময়ই সেটা বলে দিয়েছেন।

কোহলি অধিনায়কত্ব করতে চান না.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ