বিশ্বের শতাধিক দেশের মতো ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দেশেও কয়েকটি সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা উদ্যমে উত্তরণে শতকোটি দিবস (ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং) উদ্‌যাপন করেছেন। এ দিবস উদ্‌যাপনে মানববন্ধনের পাশাপাশি সৃজনশীল আয়োজন ‘হিম্মতি মাই’ আয়োজন করেছে সংগঠনগুলো।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় সংসদ ভবনের সম্মুখে সাংগাত বাংলাদেশ এবং ওবিআর বাংলাদেশের উদ্যোগে এ দিবস পালন করা হয়। এ সময় সংস্কৃতি ও মানবাধিকারকর্মীরা লাঠি মাটিতে ঠুকে আওয়াজ তুলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদী স্লোগান দেন। সাংগাতের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আয়োজনে অংশ নিয়ে নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির বলেন, ‘বিশ্বের এক শর বেশি দেশে ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং দিবস উদ্‌যাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসও। একই সঙ্গে আজ বিশ্বব্যাপী ভালোবাসা দিবসও উদ্‌যাপিত হচ্ছে। কিন্তু বছরে এক দিন গোলাপ উপহার দিয়ে ভালোবাসা জানিয়ে বাকি ৩৬৪ দিন নারীর প্রতি সহিংসতা এবং অসম্মান প্রদর্শন করে ভালোবাসা দিবস পালন অর্থহীন। নারীকে ঘরে বন্দী রাখা যাবে না, তারা সম্মানের সঙ্গে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে যুক্ত হতে হবে।’

প্রাগ্রসরের নির্বাহী পরিচালক ফওজিয়া খোন্দকার বলেন, এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও নারীকে তার প্রাপ্য সম্মানের জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হচ্ছে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজের সব প্রতিষ্ঠান নারীকে দমন করার যন্ত্র হিসেবেই কাজ করে সব সময়। এই অন্যায় ও অন্যায্যতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে আরও জোরালোভাবে।

এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নারী সংস্কারবিষয়ক কমিশনের সদস্য নীরূপা দেওয়ান, নারীপক্ষের সদস্য  কামরুন নাহার, প্রাগ্রসরের নির্বাহী পরিচালক ফওজিয়া খোন্দকার, ডিয়াকোনিয়ার নির্বাহী পরিচালক খোদেজা সুলতানা, কর্মজীবী নারীর প্রকল্প সমন্বয়ক কাজী গুলশান আরা, থিয়েটার অ্যাকটিভিস্ট রিতু সাত্তার, একশনএইড বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার নুরুননাহার বেগম, থিয়েটার অ্যাকটিভিস্ট নায়লা আজাদ, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা হকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বাদাবন সংঘ, কর্মজীবী নারী, ব্লাস্ট, নারীপক্ষ, বহ্নিশিখা, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশন, সম্ভব ফাউন্ডেশন, অবয়ব, খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতি, ডিয়াকোনিয়া, একশনএইড বাংলাদেশ, স্পার্ক (সাপোর্টিং পিপল অ্যান্ড রিবিল্ডিং কমিউটিস), হিম্মতি মাই, ঋদ্ধ ফাউন্ডেশন, সুইস কন্ট্যাক্টের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বাসে হামলার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্ষণিকা বাস এবং শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করেন ঢাবির ১৭টি বাস রুটে চলাচলকারী শিক্ষার্থীরা। এতে বাস রুট কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণও উপস্থিত ছিলেন।

তরঙ্গ বাস রুটের সভাপতি রাফিন বলেন, “বাস রুট ভিত্তিক চলাচলকারী শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আগে থেকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থানকারী শিক্ষার্থীরা নানা ভোগান্তির শিকার হয়ে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। পরিবহন খাতে বাজেট বাড়িয়ে আরো উন্নত করার প্রয়োজন রয়েছে।”

আরো পড়ুন:

ঢাবির বাসে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে হতাহতদের স্মরণে ঢাবিতে দোয়া মাহফিল

তিনি বলেন, “কিশোরগ্যাংগুলোকে সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। পরিকল্পিতভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। ক্ষণিকা বাসে হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং বাসে চলাচলকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয় প্রশাসন তৎপরতা না দেখালে আমরা উত্তরায় লং মার্চ করব।” 

ক্ষণিকা বাস রুটের সভাপতি ফারজানা মুন্নি বলেন, “বাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পরই আমি প্রক্টর স্যারকে জানায়। তিনি আমাদের সহযোগিতা করেছেন। ক্ষণিকা বাস কমিটির পক্ষ থেকে আমরা উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করেছি। আমাদের জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া এখনো চলমান। আমরা এ ঘটনার সুস্থ বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”

ঢাবি শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) ঢাবির ক্ষণিকা বাসে স্কুলের বাচ্চা ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হামলা করে। গত ৫ আগস্টের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিতর্ক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঢাবির বাসে হামলা করাটা যৌক্তিক, এটা প্রচার করা হচ্ছে কিছু কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কন্টেন্টের ওপর ভিত্তি করে। এ ঘটনা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকা জরুরি।”

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ এ কিশোর গ্যাংগুলোকে পেলে-পুষে বড় করেছে। এদের এখন কোনো অভিভাবক নেই। ফলে এরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। ক্ষণিকা বাসে হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের মহান মে দিবস আজ
  • কর্মক্ষেত্রে অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত গৌরবময় দিন
  • নির্দোষ দাবি প্রতিপক্ষের, হয়নি মামলা
  • শ্রম আইনের সংশোধন কবে হবে, তা বলছে না শ্রম মন্ত্রণালয়
  • বাসে হামলার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
  • শিগগিরই শ্রম আইন সংশোধন করা হবে: শ্রম উপদেষ্টা 
  • আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসে শিল্পকলা একাডেমির  দুই দিনের আয়োজন
  • মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না, নির্দেশ হাইকোর্টের
  • আইনগত সহায়তা দিবসে আলোচনা সভা-শোভাযাত্রা
  • আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন