সংস্কারের নামে আর অযথা সময়ক্ষেপণ চায় না বিএনপি: এমরান সালেহ প্রিন্স
Published: 17th, February 2025 GMT
ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘সরকারকে বার্তা দিতে চাই, ধীরে ধীরে ছয় মাস পার হয়ে গেছে। আমরা এই সময় কোনো কথা বলিনি। আমরা বলেছিলাম, যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিন। তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া যায়; কিন্তু আমরা তা বলিনি। এখন আমাদের দাবি, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায়। সংস্কারের নামে আর অযথা সময়ক্ষেপণ চায় না বিএনপি।’
আজ সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় পুরাতন কালেক্টরাল প্রাঙ্গণে এক সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো ও দ্রুত নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, এই সরকারের ছয় মাস চলে গেছে কিন্তু দৃশ্যত কোনো কিছুই হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্য অসহনীয়ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। চারদিকে চাঁদাবাজি, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই হচ্ছে। খুন–রাহাজানি বেড়ে যাচ্ছে। এগুলো কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, খুন এসব প্রশাসনকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ প্রসঙ্গে বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘শয়তানকে ধরার যে এই অপারেশন ডেভিল হান্ট, তা এত দিন পরে কেন? আমাদের প্রশ্ন—কেন ৮ আগস্ট এই সরকার কয়েমের পর থেকে এই ডেভিল হান্ট হলো না? কেন ওবায়দুল কাদেরকে ধরা হলো না? কেন তাঁকেসহ অন্যান্য শয়তানকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হলো? কেন সন্ত্রাসী গডফাদার, দুর্নীতিবাজ লুটেরাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে দেওয়া হলো? এখনো যারা প্রশাসনে আওয়ামী লীগের দোসর রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?’
নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো.
এদিকে দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই জেলার ১০টি উপজেলার বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নির্ধারিত স্থানে জড়ো হন। একপর্যায়ে সমাবেশস্থল ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যায়। দুপুর সোয়া ১২টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হলে দেখা যায়, নেতা-কর্মী জায়গা না পেয়ে অনুষ্ঠানস্থল লাগোয়া প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। মানুষের চাপে একপর্যায়ে ছোটবাজার এলাকা থেকে মোক্তারপাড়া পৌরসভা কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। এতে তীব্র যানজটসহ পথচারীদের কিছুটা বেগ পোহাতে হয়। ঘণ্টা চারেক পর সমাবেশ শেষ হলে অবশ্য যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন ব এনপ র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।