চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ ছাত্রীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৫৪ জন নাগরিক। তাঁরা বলেছেন, একটি অস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে, যথাযথ তদন্ত না করে এবং কোনো রকম আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই একযোগে এসব শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার, ঘটনার পুনঃ তদন্ত এবং অপেশাদার আচরণের জন্য প্রক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের সামনে একদল ছাত্রের নৌকার ভাস্কর্য ভাঙতে যাওয়ার ঘটনায় প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। একজন সহকারী প্রক্টর ছাত্রীদের গালিগালাজ করে কথা বলেছেন এবং আওয়ামী লীগের দোসর ট্যাগ দিয়েছেন, যা ছাত্রীদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়। এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান প্রক্টর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছেন, নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যৌন হয়রানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, যা প্রশাসনিক শিষ্টাচারের সব সীমা অতিক্রম করেছে।

তাঁরা বলেন, ছাত্রী হলের প্রাঙ্গণে মধ্যরাতে ভাঙচুর করতে যাওয়া, সাংবাদিকদের হেনস্তা করার অভিযোগ, একজন নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে সহকারী প্রক্টরের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ, দুজন প্রক্টরের অশালীন বক্তব্য ও ফেসবুকে নারী শিক্ষার্থীদের জঘন্য ভাষায় আক্রমণ—এসব বিষয়ে যথাযথ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন ছিল, যা হয়নি।

ছাত্রীদের দেওয়া এই শাস্তির গ্রহণযোগ্যতা নেই উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় ও ছাত্রীদের প্রতি প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্পষ্ট বিদ্বেষ পরিলক্ষিত হওয়ায় যে তদন্ত ও শাস্তি হয়েছে, তার গ্রহণযোগ্যতা নেই। অবিলম্বে এই শাস্তি প্রত্যাহার করে নির্দোষ শিক্ষার্থীদের হয়রানি থেকে মুক্তি দিয়ে পুনরায় স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে।

বিবৃতি দেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, নৃবিজ্ঞানী ও লেখক রেহনুমা আহমেদ, শিক্ষক সামিনা নিত্রা, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম, চিন্তক আ আল মামুন, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, চলচ্চিত্রকার লাবনী আশরাফি, কবি রহমান মুফিজ, শিক্ষক তানিয়াহ মাহমুদা, নাট্য নির্দেশক দীপক কুমার গোস্বামী, চলচ্চিত্রকার রাফসান আহমেদ, সাংবাদিক অনিক রায়, গবেষক মীর হুযাইফা আল মামদূহ, কবি সাইয়েদ জামিল, লেখক পারভেজ আলম, ফাহমিদুল হক, ফিরোজ আহমেদ, শিক্ষক সেলিম রেজা নিউটন, অর্থনীতি গবেষক মাহা মির্জা, লেখক দিলশানা পারুল, অধিকারকর্মী ফারজানা মাহবুবা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম, লেখক এবাদুর রহমান ও চিন্তক তুহিন খান রয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

চলতি মাসের ১৫ দিনে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু

দেশে আজ রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তি একজন পুরুষ। তাঁর বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। ঢাকায় সরকারি একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে চলতি মাসে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে দেশে ৫ জুন একজন ও ১৩ জুন ২ জনের মৃত্যু হয়। শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০৩।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল শনিবার সকাল আটটা থেকে আজ সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৯১ জনের কাছ থেকে নেওয়া নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৬টি নমুনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩।

একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন চারজন। তাঁদের নিয়ে এ পর্যন্ত করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০-এ দাঁড়িয়েছে।

আরও পড়ুনসরকারি হিসাবের চেয়ে করোনায় মৃত্যু ছিল বেশি ১০ ঘণ্টা আগে

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। করোনায় প্রথম মৃত্যুর কথা জানা যায় ওই বছরের ১৮ মার্চ। এর তিন বছর পর ২০২৩ সালের মে মাসে করোনার কারণে জারি করা বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে করোনার অমিক্রন ধরনের একটি উপধরন জেএন.১-এ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। দ্রুত ছড়ানোর কারণে জেএন.১-কে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর একই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুই দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষকেরা করোনার নতুন একটি ধরন শনাক্তের কথা বলছেন। এর নাম এক্সএফজি। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিও পাওয়া গেছে। দুটিই করোনার শক্তিশালী ধরন অমিক্রনের জেএন-১ ভেরিয়েন্টের উপধরন।

আরও পড়ুনকরোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১১ দফা নির্দেশনা১১ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প
  • সাংবাদিক পরিচয়ে গেস্ট হাউসের কক্ষে কক্ষে তল্লাশি, দম্পতির কাছে বিয়ের প্রমাণ দাবি
  • ডেঙ্গু-করোনায় দুই মৃত্যু, আক্রান্ত ২৭৫ জন
  • চলতি মাসের ১৫ দিনে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু
  • ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যে কী আলোচনা হলো
  • প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে
  • একটি দলের নেতার সঙ্গে যৌথ বিবৃতি প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
  • প্রধান উপ‌দেষ্টা একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রকাশ করেছেন: জামায়া‌তে ইসলামী
  • একটি দলের প্রতি বিশেষ অনুরাগ প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন করেছে: জামায়াত
  • লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সম্পর্কিত বক্তব্যে দ্বিমত প্রিন্সের