স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে স্ত্রী সড়কে, ট্রাকের চাপায় মৃত্যু
Published: 19th, February 2025 GMT
স্বামী অনুপ কুমার সান্যালের সঙ্গে মোটরসাইকেলে রাজবাড়ী শহরের দিকে যাচ্ছিলেন শিউলি সান্যাল (৪৫)। পথে পণ্যবাহী ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকটির চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন শিউলি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার প্রেমের বটতলা এলাকায় বালিয়াকান্দি-রাজবাড়ী আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শিউলি কালুখালী উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের হাটগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বলেন, গতকাল বিকেল ৪টার দিকে হাটগ্রামের বাড়ি থেকে অনুপের সঙ্গে মোটরসাইকেলে রাজবাড়ী শহরের দিকে যাচ্ছিলেন শিউলি। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা বালিয়াকান্দিগামী পণ্যবাহী ট্রাক মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ছিটকে সড়কের ওপর পড়েন শিউলি। ট্রাকের পেছনের একটি চাকা তাঁর শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান অনুপ।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান আজ বুধবার সকালে বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ সময় ট্রাকটিকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখান থেকে ট্রাকটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে চালক পলাতক থাকায় আটক করা সম্ভব হয়নি। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় গতকাল রাতেই সদর হাসপাতাল থেকে স্বজনদের কাছে শিউলির লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’