ফেসবুক তাদের লাইভ ভিডিও সংরক্ষণ নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। যেখানে এখন থেকে লাইভ ভিডিওগুলো মাত্র ৩০ দিন সংরক্ষিত থাকবে। তারপর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে ফেলা হবে।

এর আগে, লাইভ ভিডিওগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য সংরক্ষিত রাখা যেত। তবে আজ থেকে ৩০ দিনের বেশি পুরোনো সব লাইভ ভিডিও মুছে ফেলার জন্য চিহ্নিত করা হবে।

তবে, ফেসবুক জানিয়েছে যে পুরোনো লাইভ ভিডিও মুছে ফেলার আগে ব্যবহারকারীরা একটি নোটিফিকেশন পাবেন। যেখানে ৯০ দিন সময় দেওয়া হবে পুরোনো ভিডিও সংরক্ষণ, স্থানান্তর বা রূপান্তর করার জন্য।

কীভাবে ব্যবহারকারীরা তাদের লাইভ ভিডিও সংরক্ষণ করতে পারবেন?

ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুক তিনটি বিকল্প রেখেছে—

ডাউনলোড করা: ব্যবহারকারীরা নিজেদের লাইভ ভিডিওগুলো নিজেদের ডিভাইসে সংরক্ষণ করতে পারবেন।

ক্লাউড স্টোরেজে স্থানান্তর করা: ভিডিওগুলো Google Drive বা Dropbox-এর মতো ক্লাউড স্টোরেজে ট্রান্সফার করা যাবে।

রিল-এ রূপান্তর করা: ব্যবহারকারীরা চাইলে লাইভ ভিডিওর গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো ফেসবুক রিলসে রূপান্তর করে সংরক্ষণ করতে পারবেন।

ফেসবুকের নতুন নীতির কারণ কী? 

ফেসবুক তাদের এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, এই পরিবর্তন আমাদের স্টোরেজ নীতিকে ইন্ডাস্ট্রির স্ট্যান্ডার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে এবং ফেসবুকের লাইভ ভিডিওর অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করবে।

যদি ব্যবহারকারীরা আরও সময় চান, তাহলে তারা ভিডিও মুছে ফেলার সময় ৬ মাস পর্যন্ত পেছাতে পারবেন। তবে যদি ৬ মাসের মধ্যে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়। তাহলে ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলো মুছে ফেলবে এবং পরে তা পুনরুদ্ধার করার কোনো উপায় থাকবে না।

এ বিষয়ে আরও জানতে ফেসবুকের অফিসিয়াল পেইজে ক্লিক করুন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ সব ক ফ সব ক র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ