বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‍“আওয়ামী লীগের শাসনামলে পার্লামেন্ট নির্বাচন থেকে শুরু করে দেশে কোনো নির্বাচনই হয়নি। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে তারা।”

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপরে নাটোর শহরের আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে নাটোর চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, “আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। গত ১৫ বছর বিএনপি মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকারের সংগ্রাম চালিয়েছে। অনেক বছর ধরে পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে।গণতন্ত্রের এই অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।”

আরো পড়ুন:

ইউপি নির্বাচন আগে হলে আ.

লীগ ঢুকে পড়বে : টুকু

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন : তারেক রহমান

 

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন যে দিনই হোক না কেন, আপনারা এখন থেকেই বিএনপির ধানের শীষ প্রতীককে জয়লাভ করানোর জন্য দলীয় কর্মকাণ্ড শুরু করুন। নাটোর সুগার মিল শ্রমিক নির্বাচন আমাদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। আমরা বিশ্বাস করি যে, আপনাদের এ বিজয় আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিএনপিকে অনুপ্রেরণা দেবে। এ বিজয় আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনের জয়কে ত্বরান্বিত করবে।” 

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আফতাব, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম, শ্রমিক নেতা হাবিবুর ইসলাম হেলাল, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ, সহ-সভাপতি আতাউর রহমান বাবু, সহ-সভাপতি (অফিস) মাইনুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (কারখানা) মাহামুদুল হাসান নাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (অফিস) মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরি।

ঢাকা/আরিফুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আওয় ম ল গ ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ