হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে চাচাত ভাই সামায়ন মিয়ার বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফেরা হলো না মো. তানভীর সোহেবের।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সোহেব ঘটনাস্থলে মারা যান। 

সোহেব উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের পুরাইকলা মো. বেনু মিয়ার ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় ছাবেদ মিয়ার ছেলে সামায়ন মিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম মাহমুদুল হক বলেন, “সামায়ন মিয়া বিয়ের বাজার করে তার চাচাত ভাই সোহেবকে নিয়ে মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফিরছিলেন। নূরপুর এলাকায় অজ্ঞাত গাড়ি চাপা দিলে মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে সোহেব মারা যায়। আহত অবস্থায় সামায়ন মিয়াকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।”

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগামী শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সামায়ন মিয়ার বিয়ে হওয়ার কথা। বিয়ের বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় সোহেব মারা যায়। গুরুতর আহত হয় সামায়ন।

ঢাকা/মামুন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য় র ব জ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধ করায় এয়ার ইন্ডিয়ার ৬০ কোটি ডলার ক্ষতির আশ

পাকিস্তান ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার পর এয়ার ইন্ডিয়ার ৬০ কোটি ডলার লোকসান হতে পারে। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি চিঠির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, “ধরে নিচ্ছি যে, পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকবে যা আগামী বছর পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হতে পারে। তাতে যে বাড়তি খরচ হবে তার মধ্যে রয়েছে বিকল্প রুটে বিমানগুলোর দীর্ঘ উড্ডয়নের জন্য বর্ধিত জ্বালানি খরচ।

বিমান সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়েছে জানিয়েছে, ফ্লাইটের সময় যত বেশি হবে, যাত্রীদেরও তার উপর প্রভাব পড়বে। ফ্লাইট দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে নিষেধাজ্ঞার সময়কালে প্রতি বছর ৫৯ কোটি ১০ লাখ ডলারেরও বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

২২ এপ্রিল ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনার জন্য কোনো প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করেছে ভারত। নয়াদিল্লি পরের দিনই সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিতসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়। এর জবাবে পাকিস্তান ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়াসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়।

বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়কে লেখা চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ক্ষতি পোষাতে এয়ার ইন্ডিয়া সরকারের কাছে আনুপাতিক ভর্তুকির জন্য অনুরোধ করেছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রভাবিত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য ভর্তুকি একটি ভালো, যাচাইযোগ্য এবং ন্যায্য বিকল্প... পরিস্থিতির উন্নতি হলে ভর্তুকি প্রত্যাহার করা যেতে পারে।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ