রাজশাহীতে এক মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে আটক পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগর পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।

এর আগে সোহেল রানা রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায় কর্মরত ছিলেন।

আরও পড়ুনরাজশাহীতে রাতে মাদক কারবারির স্ত্রীর ঘরে পুলিশ কর্মকর্তা, আটক করে লাঠিপেটা স্থানীয়দের১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অভিযোগ আছে, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের সাতবাড়িয়া মহল্লার এক নারীর ঘরে সোহেল রানাকে আটক করেন স্থানীয় লোকজন। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাঁকে লাঠিপেটা করা হয়। সেই সঙ্গে ওই নারীকেও মারধর করা হয়েছে। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

জেরার মুখে এএসআই সোহেল রানা বলেন, তিনি কলমা পড়ে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। তবে ওই নারীর স্বামীর দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর এখনো ছাড়াছাড়ি হয়নি। প্রত্যুত্তরে ওই নারী বলেন, মুখে মুখে তিনি স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। এ ঘটনার পর সোহেলকে উদ্ধার করে নগরের মতিহার থানায় পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। সেখান থেকে চন্দ্রিমা থানা ও পরে পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক জানান, ওই নারীর স্বামী মাদক কারবারি। তাঁর বাড়ি নগরের ডাসমারী মধ্যপাড়ায়। একটি মাদক মামলায় প্রায় দেড় বছর জেলে ছিলেন। এ সময়ে ওই নারী বাবার বাড়ি চলে যান। স্বামীর জামিনের পর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এখন তদন্ত হবে। তবে কেউ অভিযোগ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কোনো মামলা হয়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র র ঘর ওই ন র

এছাড়াও পড়ুন:

শেরপুরে মাদক মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলায় এএসআইসহ আহত ৩

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ধরতে গিয়ে পুলিশের দুই সদস্যসহ তিনজন হামলার শিকার হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ওমর ফারুক, কনস্টেবল নাজমুল আহসান ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া।

এদিকে হামলার ঘটনায় করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি এলাকার হাবিবুর রহমান (৫৫) ও জোহরা বেগম (৪৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি গ্রামের মাজম আলীর (৪০) বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। গতকাল বিকেল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে যায় নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশের একটি দল। এ সময় মাজম আলীসহ কয়েকজন পোড়াবাড়ি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ির রান্নাঘরে বসে ইয়াবা কেনাবেচা করছিলেন। তখন দলটি অভিযানে গেলে আসামির স্বজনেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে ওই এএসআই ও কনস্টেবল আহত হন। আসামির স্বজনদের ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার হন স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া। পরে তাঁদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওমর ফারুক ও শাহীন মিয়া।

পুলিশ জানায়, হামলার ঘটনার পর গত রাতেই অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে হাবিবুর ও জোহরাকে আটক করা হয়। পরে রাতে মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোপালগঞ্জে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান সংঘর্ষ, নিহত ১
  • শেরপুরে মাদক মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলায় এএসআইসহ আহত ৩