ঢাকা-কালনা-নড়াইল-যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নড়াইল সদর উপজেলার মাছিমদিয়া এলাকার নিশিনাথতলা মোড়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গৃহবধূ রোজিনা বেগম দোলা (৩০) নিহত হয়েছে। এ সময় দোলার কোলে থাকা শিশু সন্তান মাওয়া (২) ও মোটরসাইকেল চালক স্বামী খালিদ হোসেন (৪৫) আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দোলা শহরের ঝাউতলা মহিলা অধিদফতরের কার্যালয়ে প্রশিক্ষণ নেন। পরে শিশু কন্যা মাওয়া ও স্ত্রীকে নিয়ে খালিদ হোসেন মোটরসাইকেল যোগে নড়াইল পৌরসভার বিজয়পুরে বাড়ি ফিরছিলেন। নড়াইল শহরের নিশিনাথতলা এলাকায় একটি ভ্যান পাশ কাটাতে গিয়ে বৃষ্টিভেজা সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল পড়ে যায়। এ সময় দোলা মাথায় আঘাত পান। পথচারীরা তাদের উদ্ধার করে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতলে নিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক দোলাকে মৃত ঘোষণা করেন। খালিদ ও তার মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 

আরো পড়ুন:

পালিয়ে যেতে পুলিশকে ১ কি.

মি. ঝুলিয়ে রাখলেন অটোচালক

সড়কে আলু ফেলে কৃষকের বিক্ষোভ

ঢাকা/শরিফুল/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ